নিজস্ব সংবাদদাতা: দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অন্তর্গত বিভিন্ন ইউনিটের বিএসএফ জওয়ানরা পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, নদিয়া এবং মালদা জেলার আন্তর্জাতিক সীমান্তে মাদক চোরাচালানকে ব্যর্থ করেছে। মোট ৮৪০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে। ঘটনার সঙ্গে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে বিএসএফের জওয়ানরা। চোরাকারবারীরা ফেনসিডিল ও বিদেশি মদ ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টা করার সময় বিএসএফ অভিযান চালায়। বাজেয়াপ্ত ফেনসিডিল ও বিদেশী মদের আনুমানিক মূল্য ১,৮০,৩০৩ টাকা।
প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, বর্ডার আউটপোস্ট ইন্ডিয়া ওয়ান, ৭৩ ব্যাটালিয়ন এর বিএসএফের জওয়ানরা ডিউটি করার সময় দেখতে পান যে দুই সন্দেহভাজন ব্যক্তি কিছু ব্যাগ নিয়ে একটি সাইকেলে সীমান্তের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন। জওয়ান জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের থামানোর চেষ্টা করেন, তাঁরা ভয়ে পালাতে শুরু করেন। কিন্তু জওয়ানের সতর্কতার কারণে একজন ধরা পড়ে এবং অন্য একজন ভারতের দিকে ছুটে যায়। তল্লাশি চালিয়ে তার ব্যাগ থেকে ৮ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তি জানান, তিনি বাংলাদেশের কোনও অজ্ঞাত ব্যক্তিকে এই মদ দিতে যাচ্ছিলেন।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম ইমান শেখ ফাদার- জাবরুদ্দিন, গ্রাম- সারান্দাজপুর জেলা মুর্শিদাবাদ। দ্বিতীয় ঘটনায়, বিএসএফ-এর গোয়েন্দা বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে,৭০ ব্যাটালিয়নের সীমান্ত চৌকি নিউ নাদিরখানার বিএসএফ জওয়ানরা একটি সন্দেহভাজন এলাকায় একটি বিশেষ অ্যামবুশ স্থাপন করে। বিএসএফের জওয়ানে দলটি কিছু চোরাকারবারীর গতিবিধি লক্ষ্য করে যারা ভারতীয় দিক থেকে বিএসএফ নেতত্বে থাকা লাইনের দিকে এগিয়ে আসছিল। অতর্কিতে বিএসএফের জওয়ানরা হামলা চালায়। জওয়ানদের তাদের দিকে আসতে দেখে চোরাকারবারীরা কিছু ব্যাগ ফেলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। অ্যাম্বুশ পার্টি তাদের ধরার চেষ্টা করে কিন্তু ঘন ঝোপ ও অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এরপর অ্যাম্বুশ পার্টি ব্যাপক তল্লাশি চালায়। ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এছাড়া একই দিনে অন্যান্য ঘটনায় জিতপুর ও মাটিয়ারী সীমান্ত ফাঁড়ির জওয়ানরা নিজ নিজ এলাকা থেকে মোট ১৪০টি ফেনসিডিল বোতল বাজেয়াপ্ত করেছে।
শ্রী এ.কে. আর্য, ডিআইজি, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ আধিকারিক জওয়ানদের সাফল্যে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছিলেন যে এটি ডিউটিতে থাকা বিএসএফ জওয়ানদের সতর্কতার প্রতিফলন। তিনি কড়া ভাষায় বলেন, বিএসএফ কোনো অবস্থাতেই সীমান্তে চোরাচালান বা অন্য কোনো ধরনের অপরাধ ঘটতে দেবে না। তিনি আরও বলেন, "আমাদের গোয়েন্দা বিভাগ এই চোরাচালানের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করছে।"