নিজস্ব সংবাদদাতা, ঘাটালঃ বন্যা কবলিত গোটা এলাকা। জলের তলায় ঘাটাল শহর। গোটা শহর জলে ডুবে রয়েছে। এমন অবস্থায় ঘাটাল থানায় প্রায় এক কোমর সমান জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। থানার কয়েদিদেরকেও অন্যত্র সররিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এমনকি, থানার সব গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রও সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এছাড়াও, থানার পুলিশ আধিকারিক এবং অন্যান্য কর্মীরা এক বেসরকারী লজের ঘরে কার্যত থানার কাজকর্ম শুরু করেছেন। এ ক্ষেত্রে আরও উল্লেখ্য যে, ঘাটালে বিগত দুদিনে বন্যার জলস্তর নীচে নেমেছে। কিন্তু তা সত্বেও এখনও ঘাটালে প্রায় কোমর সমান জল দাঁড়িয়ে রয়েছে। সমস্যায় পড়েছেন ঘাটালের সাধারণ মানুষরা।
আরও উল্লেখ্য যে, ঘাটালের পাশাপাশি পাঁশকুড়া শহরেও বন্যার ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়ে রয়েছে। কংসাবতী নদীর জল দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। যার ফলে এই মুহূর্তে জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে বইছে বন্যার জল, আর সেই জল পেরিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে পথচারীদের। যে কোনও মুহূর্তেই ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা, এমনটাই আশঙ্কা করছেন পথচারীরা।
পাশাপাশি বিভিন্ন কারখানা প্রায় জলের তলায়। সেই জল পেরিয়েই কাঠের আসবাবপত্র বের করছেন কারখানার কর্মচারীরা। বন্যার জলের ফলে মহা সমস্যায় পড়েছেন কাঠের ব্যবসায়ীরা। জলে পচে গিয়েছে কাঠ। উল্লেখ্য, পাঁশকুড়ায় যে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা কবে কমবে সেই অপেক্ষায় রয়েছে পাঁশকুড়াবাসী।
এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য, গতকাল পাঁশকুড়ার বন্যা পরিদর্শনে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার। বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে ফের একবার ডিভিসি এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাঁশকুড়ার একাধিক এলাকা ঘুরে দেখে এবার তিনি বললেন, '' ডিভিসির সঙ্গে ভবিষ্যতে সম্পর্ক রাখা হবে কিনা ভাবতে হবে। কেন্দ্র ড্রেজিংয়ে নজর দিচ্ছে না। পরিকল্পনা করে বাংলাকে ডোবানো হচ্ছে। এটা বৃষ্টির বন্যা নয়। ঝাড়খন্ড বিহার থেকে জল ছাড়া হয়েছে। বারবার দুই রাজ্য থেকে ছাড়া জলের প্লাবিত হচ্ছে বাংলা। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। ''