তৃণমূল নেতাদের চরম দুর্নীতি ! পোস্টারে ছেয়ে গেল গোটা এলাকা

এলাকায় চাঞ্চল্য।

author-image
Adrita
New Update
ক

নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুরঃ দুই তৃণমূল নেতার নামে লাগাম ছাড়া দুর্নীতি, সন্ত্রাস, স্বজন-পোষণের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর অভিযোগ লেখা পোস্টার পড়লো এলাকায়। দুর্গাপুরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে নামো সগড়ভাঙা গ্রামে রবিবার সাত সকালে এই পোস্টারকে ঘিরে চাপা উত্তেজনা। ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের সহ সভাপতি বিধান মাজি, আর অরুন ধারা দলের আরো এক নেতা। 

পোস্টারে বলা হয়েছে," এক সময় বর্তমানের তৃণমূলের নেতারা সিপিএম পার্টিতে যুক্ত ছিল। সিপিএম নেতাদের সাহায্য নিয়ে স্বজন পোষণ, অত্যাচার চালাতো। কাজ দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিতো। লোকাল ছেলেদের কাজ না দিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগসাজশ করে বহিরাগতদের কাজ দিত। সিপিএম সরকার চলে যাওয়ার পর তারাই প্রভাত চট্টোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের জেলা নেতাদের সাহায্য নিয়ে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি কারখানার শ্রমিক সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়। তারপর থেকে ফের একই রকম ভাবে টাকার বিনিময়ে কাজ দিতে থাকে। ওই তৃণমূল নেতাদের অনুগত বেশ কিছু শ্রমিক একাধিক কারখানা থেকে আট ঘন্টার আগেই কাজ থেকে বেরিয়ে যায়। অন্যান্য শ্রমিকরা তার প্রতিবাদ করলে তাদেরকে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এছাড়াও নানা রকম ভাবে হুমকি দিয়ে ওটা এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ায় তারা। " 

বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত বলেন," দিকে দিকে সন্ত্রাস অত্যাচার অব্যাহত রয়েছে। তৃণমূল নেতারা কারখানাগুলিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। প্রতিবাদ করলে এলাকাবাসীদের মারধর করা হচ্ছে। স্থানীয়দের চাকরি না দিয়ে বহিরাগতদের চাকরি দেওয়া হচ্ছে। একাধিকবার আমরা তার প্রতিবাদ করছি। স্থানীয়রা এবার পোস্টারের মাধ্যমে সেই সব তৃণমূল নেতাদের মুখোশ খুলে দিচ্ছে। আমাদেরও প্রতিবাদ চলছে। " 

যদিও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের সহ-সভাপতি বিধান মাঝি দাবি করেন," এলাকার মানুষের কাজ করি মানুষের পাশে থাকি। আর কিছু মানুষ বিরোধীদের সাথে হাত মিলিয়ে আমাদের নামে বদনাম করার চেষ্টা করছে। " তিন নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি ভীমসেন মন্ডল বলেন," এসবই বিরোধীদের চক্রান্ত। তবুও দলগতভাবে বিষয়টিকে দেখা হবে। তবে দলের মধ্যে যদি কেউ অন্যায় করে থাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। "