হরি ঘোষ, দুর্গাপুর: লোহা চোর ধরতে দলবল নিয়ে বন্ধ কারখানার ভেতর ঢুকে পড়লেন বিজেপির জেলা সহ সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার রাতে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার জেশপ কারখানার ভেতর ঢুকে পড়লেন খোদ বিজেপির এই জেলা নেতা।
অভিযোগ, সোমবার সন্ধ্যায় বিজেপির এক কর্মী দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাৎই তিনি দেখেন যে দুর্গাপুর নগর নিগমের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের ভগৎপল্লী সংলগ্ন জেশপ গেটের একটা অংশে কাটার মেশিন লাগিয়ে লোহা কাটা হচ্ছে। এরই প্রতিবাদ করলে তাকে হুমকি দেওয়া হয়। বিষয়টি জানতে পারেন বিজেপির জেলা সহ সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিজেপি কর্মীরা ঢুকে পড়েন বন্ধ জেশপ কারখানার ভেতরে। ঘুরে দেখেন এলাকা। খোঁজ চালান লোহা চোরদের। চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, "শুধু জেশপ কারখানা নয়, মা চন্ডি থেকে শুরু করে আরো বেশ কয়েকটি বেসরকারি, সরকারি বন্ধ কারখানায় দিব্বি চুরি চলছে। চুরি হয়ে যাচ্ছে কারখানার লোহার যন্ত্রাংশ। বারবার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কাজ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে এই সম্পত্তি বাঁচাতে লোহা চোরদের ধরতে তাঁরাই অভিযানে নেমেছেন"। এসব বিজেপির নাটক বলে কটাক্ষ করে জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সুজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, "কোথাও কোনও অন্যায় বরধ্বস্ত করা হয় না। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপরাধ দমনে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এক্ষেত্রেও পুলিশ নিশ্চয়ই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে"।
শাসক দলকে আক্রমণ শনিয়েছেন খোদ জেলা কংগ্রেস সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তীও। তিনি বলেন, "রাতের অন্ধকারে জেশপ কারখানায় ঢুকে চক্ষু ছানাবড়া। রীতিমতো কারখানার ঘন জঙ্গলের ভেতর দিয়ে রাস্তা বানিয়ে চলছে লোহা চুরি। নাকের ডগায় থানা কিন্তু পুলিশ কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছে না। মাতালদের আর ডাকাতদের উপদ্রবে লুট হচ্ছে শিল্পাঞ্চলের সম্পত্তি"।
/anm-bengali/media/media_files/2025/03/18/jKXVd2kIEJBEBfdyefMK.PNG)