নিজস্ব সংবাদদাতা: কল্যাণী রথতলায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের (Kalyani Blast) ঘটনায় মৃতদের পরিবারের হাতে রাজ্য সরকারের তরফে তুলে দেওয়া হল ২ লক্ষ টাকা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ক্ষতিপূরণ হিসেবে আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হল। এদিন নদীয়ার (Nadia) কল্যাণীতে মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে মৃতদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় ক্ষতিপুরণ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কল্যাণীর মহকুমা শাসক অভিজিৎ সামন্ত, নদীয়া জেলার জেলা শাসক এস অরুণ প্রসাদ, পুলিশ সুপার রানাঘাট পুলিশ জেলার কুমার সানি রাজ, কল্যাণী পৌরসভার পৌরপতি নিলিমেশ রায়চৌধুরী।
শুক্রবার রানাঘাট দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মুকুটমনি অধিকারী এই সাহায্য তুলে দেন মৃতের পরিবারের হাতে। সূত্রের খবর, ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে পরিবারদের। যদিও কল্যাণী রথতলায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে চারজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মোট ৮ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফে।
এদিন আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়ার পাশাপাশি রানাঘাট দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মুকুটমনি অধিকারী জানান, 'পরিবারদের এই ক্ষতি আমাদের সকলকে ব্যথিত করছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার, প্রশাসন এবং অল ইন্ডিয়া তৃণমূল-কংগ্রেস তাঁদের পাশে সব সময় আছে। শুধু তাই নয়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বসময় এই সমস্ত মানুষদের পাশে থেকে তাঁদের দুঃখ দুর্দশার কথা মনে রাখবেন। কোনও আর্থিক সাহায্যই একটি মৃত্যুর পরিপূরক হতে পারে না। এই মৃত্যুর সঙ্গে সমবেদনা জানিয়ে তাঁদের পরিবার যাতে একটু সাবলীল জীবনযাপন করতে পারে তাই তাদের হাতে এই আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হল।
যদিও এই আর্থিক সাহায্য প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন কল্যাণী বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। তিনি জানান, হঠাৎ করেই সব কিছু তাড়াতাড়ি করে মৃত্যুর দাম ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হল। কিন্তু তদন্তের গতি প্রকৃতি বা তদন্ত কোনও কিছুই হল না। এ বিষয়ে বিজেপি বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে এবং এই ঘটনায় তাঁরা এমআইএ তদন্ত চাইছেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশমতো বিধানসভায়ও এই বিষয়ে তুলে ধরা হবে। তদন্তের নামে প্রহসন চালিয়ে নিজেদের দোষ এবং অকর্মন্যতাকে ঢাকতেই আজ মৃত্যুর দাম ২ লক্ষ টাকা করে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তথা রাজ্য সরকার, অভিযোগ অম্বিকা রায়ের।