নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ফের তোপ দাগল বিজেপি। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে চাকরি হারানো প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর বেতন মুখ্যমন্ত্রীর তহবিল থেকে দেওয়ার দাবি তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি, এসএসসির (স্কুল সার্ভিস কমিশন) নিয়মেও পরিবর্তন আনার দাবি জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার বিজেপি নেতারা অভিযোগ করেন, স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির জেরে ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট, যার ফলে বহু শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন। তাদের আবার নতুন করে সিলেকশন পরীক্ষায় বসতে হবে।
সুকান্ত মজুমদার এ প্রসঙ্গে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইলে শিক্ষকদের চাকরি বাঁচাতে পারতেন। সবাই টাকা দিয়ে চাকরি পাননি। গতকাল দেখলাম, শিক্ষকরা কাঁদছেন। বাংলায় শিক্ষকরা সবসময় শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন, অথচ এখন যোগ্য, মেধাবী, এমনকি গোল্ড মেডালিস্টরাও পথে বসেছেন। পরিবার চালানোর, মা-বাবার চিকিৎসার খরচ কীভাবে জোগাড় করবেন—তা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন তাঁরা। এর জন্য একমাত্র দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
তিনি আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী তিন মাস পর নতুন সিলেকশন প্রক্রিয়া হবে। কিন্তু যাঁরা এতদিন শিক্ষকতা করেছেন, তাঁদের জন্য বিশেষ নম্বর বা ‘রিলিফ নম্বর’ রাখা উচিত, যাতে তাঁদের প্রতি সুবিচার করা হয়।
/anm-bengali/media/media_files/J9ndT7QdQb8nguMcez2d.jpg)
বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্রও এই বিষয়ে সুর চড়িয়েছেন। তিনি এবং সুকান্ত মজুমদার একযোগে বলেন, “যাঁরা সত্যিই যোগ্য, তাঁদের মুখ্যমন্ত্রীর তহবিল থেকে অন্তত বেতন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক, যাতে তাঁদের পরিবার অনিশ্চয়তার মধ্যে না থাকে।”
এই দাবিকে ঘিরে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এখন দেখার, এই ইস্যুতে তৃণমূল সরকারের পক্ষ থেকে কী প্রতিক্রিয়া আসে।