নিজস্ব সংবাদদাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আসন্ন বৈঠকের আগেই বড় কর্মসূচির পথে হাঁটলেন চাকরিহারারা। পশ্চিমবঙ্গ বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী, চাকরিজীবী ও চাকরিহারা ঐক্য মঞ্চ ২১ এপ্রিল ‘নবান্ন অভিযান’-এর ডাক দিল। সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কর্মসূচির ঘোষণা করেন মঞ্চের প্রতিনিধিরা।
এদিন ঐক্য মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ১২-১৩টি সংগঠন একত্রিত হয়ে এই আন্দোলনে শামিল হচ্ছে। আরও কিছু সংগঠন ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করেছে বলেও জানিয়েছেন নেতৃত্ব। আশা, তারা শিগগিরই এই আন্দোলনে যুক্ত হবে।
তবে শুধু কর্মসূচির ঘোষণা নয়, এদিন প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চাকরিহারারা। তাঁদের অভিযোগ, “এর আগেও একাধিকবার আন্দোলন করেছি, কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও সদর্থক উদ্যোগ দেখা যায়নি। আমরা ভেবেছিলাম মুখ্যমন্ত্রী মানবিক হবেন, কিন্তু তাঁর আচরণ প্রমাণ করে দিয়েছেন, তিনি অমানবিক।”
চাকরি হারানো শিক্ষকদের দাবি, সরকারের সদিচ্ছার অভাবেই তাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন। আর প্রতিশ্রুতিতে নয়, তাঁরা এবার চায় বাস্তবায়িত পদক্ষেপ।
/anm-bengali/media/media_files/6CbcCA9fq2T98m9nfmJt.jpg)
এই প্রেক্ষিতে আলোচনার জন্য ১৫ এপ্রিল, অর্থাৎ পয়লা বৈশাখ পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন তাঁরা। দাবি, “এই সময়ের মধ্যেই যদি রাজ্য সরকার প্রতিটি মঞ্চের সঙ্গে বসে সমস্যার সমাধান না করে, তাহলে ২১ এপ্রিলের নবান্ন অভিযান স্থগিত হবে না।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, ৭ এপ্রিল চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও জানিয়েছেন, “মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন, তাঁর উপর ভরসা রাখুন।”
তবে চাকরিহারাদের প্রশ্ন—আর কতদিন এই ভরসা? তাঁদের বক্তব্য, “আমরা চাই না কোনও বেকার ভাতা। আমরা চাই যোগ্যতার ভিত্তিতে, আইনসঙ্গতভাবে চাকরি ফিরে পেতে।”
চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানান, লাগাতার আন্দোলন চালাতে গিয়ে তাঁদের প্রতিদিন কাটছে অনিশ্চয়তার মধ্যে। এবার তাঁরা স্পষ্ট বার্তা চাইছেন সরকার থেকে।