নিজস্ব সংবাদদাতা : দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বোচ্চ আদালত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, চার মাস আগে তিনি হঠাৎ করে সামরিক আইন ঘোষণা করেছিলেন, যা দেশজুড়ে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি করে। এরপর সংসদ তাকে অপসারনের সিদ্ধান্ত নেয়। আজ আদালত সেই সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত করল।
/anm-bengali/media/media_files/2025/04/04/1000181330-782845.webp)
এই রায়ের ফলে ইউন সুক-ইওল এখন আর প্রেসিডেন্ট নন। তাকে অবিলম্বে সরকারি বাসভবন ছাড়তে হবে। এর পাশাপাশি, নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ৬০ দিনের মধ্যে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
আদালত জানিয়েছে, ইউন সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন এবং বেআইনিভাবে সেনাবাহিনী ব্যবহার করে সংসদ সদস্যদের দমন করতে চেয়েছেন। বিচারকদের মতে, এটি জনগণের প্রতি বড় ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা। তাই তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তে দেশজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ইউনের বিরোধীরা আদালতের বাইরে উল্লাস করেছে, আনন্দ উদযাপন করেছে। অন্যদিকে, তার সমর্থকরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এদিকে, ইউনের বিরুদ্ধে এখনো একটি ফৌজদারি মামলা চলছে। তিনি রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত, আর দোষী প্রমাণিত হলে বড় শাস্তির মুখে পড়তে পারেন।
/anm-bengali/media/media_files/2025/04/04/1000181332-361156.jpg)
উল্লেখ্য, একসময় দেশের শীর্ষ প্রসিকিউটর হিসেবে আলোচিত ইউন সুক-ইওল নিজেই ছিলেন আগের প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন-হের দুর্নীতির মামলার প্রধান আইনজীবী। সেই মামলার রায়ের কারণে পার্ক জেলে গিয়েছিলেন। কিন্তু আজ ইউন নিজেই ক্ষমতা হারালেন এবং এক নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ের মুখোমুখি হলেন।