তীব্র টানাপোড়েনের মধ্যে বাজেটে কত টাকা বরাদ্দ করা হল বাংলাদেশের জন্য! জানলে চমকে উঠবেন

তীব্র টানাপোড়েনের মধ্যে বাজেটে কত টাকা বরাদ্দ করা হল বাংলাদেশের জন্য...

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
c

নিজস্ব সংবাদদাতা: শেখ হাসিনার বিদায়ের পর থেকেই ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কে দূরত্ব যেন বাড়ছে। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ভারতে অবস্থান করছেন, যা নিয়ে 'অসন্তুষ্ট' ঢাকা। এছাড়াও, সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নিয়ে সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে বেশ কিছু জায়গায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা নিয়েও ভারত অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।

এই কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই ভারতের কেন্দ্রীয় বাজেটে বাংলাদেশের জন্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছর শেখ হাসিনা সরকারের সময় ভারতের বাজেটে বাংলাদেশের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল, এবারের বাজেটেও সেই বরাদ্দ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।


ভারতের কেন্দ্রীয় বাজেটে এবার বিদেশ মন্ত্রকের জন্য মোট ২০,৫১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, যা গত অর্থবর্ষের তুলনায় কম। গত বছর এই মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ছিল ২৫,২৭৭ কোটি টাকা। তবে প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য বরাদ্দের ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের জন্য গতবারের মতোই ১২০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কূটনৈতিক টানাপোড়েন সত্ত্বেও বাজেটে আগের বরাদ্দ অপরিবর্তিত রাখা এই বার্তা দিচ্ছে যে, ভারত এখনো বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী।

ভুটানের জন্য সর্বোচ্চ অনুদান
প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ অনুদান বরাদ্দ পেয়েছে ভুটান। ভারতের বিদেশি অনুদানের তালিকায় বরাবরই শীর্ষে থাকা এই দেশটির জন্য এবার বরাদ্দ করা হয়েছে ২,১৫০ কোটি টাকা।

চলতি অর্থবর্ষে বিভিন্ন দেশের জন্য মোট ৬,৭৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে ভারত সরকার। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ২০২৩ সালে ভুটানের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার জন্য ভারতের আর্থিক সহায়তা দ্বিগুণ বাড়িয়ে ১০,০০০ কোটি টাকা করা হয়েছিল।

বাজেট বরাদ্দ থেকে স্পষ্ট, সীমান্ত সমস্যা ও কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেও ভারত বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী। বিশেষ করে, হাসিনা সরকারের পরবর্তী সময়ে দুই দেশের সম্পর্কের যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, তার মধ্যেও অর্থনৈতিক সহায়তা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত কৌশলগতভাবেও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।