নিজস্ব সংবাদদাতা: হোলি উদযাপনের এক সপ্তাহ আগেই লাঠমার হোলি উদযাপন করা হয়। অতি প্রাচীন কাল থেকে এই হোলি উদযাপন করা হচ্ছে। বারসানা ও নন্দগাঁওয়ে এই লাঠমার হোলি উদযাপন করা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এই হোলিতে অংশগ্রহণ করতে আসেন। এই হোলি আসলে রাধা ও শ্রীকৃষ্ণের প্রেমকাহিনীকে সামনে রেখে পালন করা হয়। এখানেই শ্রীকৃষ্ণের ছোটবেলা কেটেছে। বারসানাতে থাকতেন রাধা। মাঝে মাঝেই কৃষ্ণ রাধার সঙ্গে দেখা করতে বারসানাতে আসতেন বলে পৌরাণিক কাহিনীতে বলা হয়। এছাড়াও কৃষ্ণ ছোটবেলায় নানাভাবে গোপীদের উত্যক্ত করতেন। এমনকি মাঝে মাঝেই তাঁদের জলে ভিজিয়ে দিতেন। পাল্টা গোপীরা তাঁকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দিতেন। গোপীদের সঙ্গে শ্রীকৃষ্ণ কৌতুক করতেন। সেখান থেকেই লাঠমার হোলির প্রবর্তন হয় বলে পৌরাণিকবিদরা মনে করেন। নন্দগাঁও ও বারসানাতে মানুষ রাধা ও কৃষ্ণ সেজে লাঠমার হোলি উদযাপন করেন।