নিজস্ব সংবাদদাতাঃ তিলোত্তমার ঘটনা এবার উঠে এল সরকারি স্কুলের প্রশ্নপত্রে। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার একটি স্কুলে। বিষয়টির পিছনে রাজনীতি দেখছে তৃণমূল। তবে বিজেপির বক্তব্য, এই বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের অবগত হওয়া প্রয়োজন রয়েছে। জানা যাচ্ছে, এগরার ঝাটুলাল হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির সেমিস্টার চলছে। সোমবার ছিল রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষা। আর এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ৫ নম্বর পেজের ৪০ নম্বর প্রশ্ন ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। দেখা যাচ্ছে প্রশ্নে লেখা, ‘শিক্ষা আমার মৌলিক অধিকার। আমি অভয়া (তিলোত্তমা) অনেক আশা ও স্বপ্ন নিয়ে আরজি কর মেডিকেল কলেজে উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমার। আমায় মেডিকেল কলেজের মধ্যে পাশবিক অত্যাচার করে খুন করা হয়েছে। আমার সঠিক বিচার হোক। উপরে বর্ণিত শিক্ষার অধিকারটি সংবিধানের কোন ধারায় আছে?’ এরপর উত্তর দেওয়ার জন্য চারটি অপশন দেওয়া রয়েছে। আর এই প্রশ্ন নিয়েই শুরু চাপাউতোর।
এই বিষয়ে দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষক দেবাশিস জানা বলেন, “কী প্রশ্ন হয়েছে জানি না। আমি শারীরিক অসুস্থতার কারণে স্কুলে যেতে পারিনি। স্কুলে গিয়ে খোঁজ নিয়ে বলতে পারব।”
অপরদিকে, এগরার তৃণমূল বিধায়ক তরুণ মাইতি বলেন, “তিলোত্তমাকে যুক্ত করে রাজনীতি করা হয়েছে। এই ঘটনায় বিচার আমরা সকলেই চাইছি। কিন্তু যে ছেলেটি বা মেয়েটি দারিদ্রের কারণে চা দোকানে কাজ করতে গিয়ে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হল, তার জন্য শিক্ষার অধিকার প্রযোজ্য হবে না?সুতরাং একটি স্পেশাল কেসকে তুলে ধরে হাওয়া গরম করতে চাওয়া হয়েছে।”
অন্যদিকে, কাঁথি জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক চন্দ্র শেখর মণ্ডল বলেন, “এই সামাজিক আলোড়ন তৈরি করেছে। এই বিষয়টি সামাজিক ইস্যু। সুতরাং এই বিষয়ে পড়ুয়াদের অবগত করতে মাস্টারমশাই যে উদ্যোগ নিয়েছে তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।”