নিজস্ব সংবাদদাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি আদিবাসীদের জমি অধিকার সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, "আদিবাসীদের জমি কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। রাজ্য সরকার এই বিষয়ে একটি আইন করেছে এবং সারা দেশেও এই আইন চালু হওয়া উচিত।" ঝাড়গ্রামে বিশ্ব আদিবাসী দিবস উদযাপনের সময় মমতা এই কথা বলেন এবং আদিবাসী সমাজের উন্নয়নে রাজ্য সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি জানান, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর আদিবাসী উন্নয়ন দফতর গঠন করা হয়েছে এবং এর বাজেট ২০১১ সালের তুলনায় সাতগুণ বাড়ানো হয়েছে। ১৯ লক্ষেরও বেশি আদিবাসী সম্প্রদায়কে জাতিগত শংসাপত্র প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও, ঝাড়গ্রাম ও কালিম্পং-এ নতুন আদিবাসী ভবন তৈরি করা হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধামসা-মাদলের তালে আদিবাসীদের সঙ্গে নৃত্যে অংশ নেন এবং তাদের ঐতিহ্যবাহী শাড়ি পরে অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এই পদক্ষেপ আদিবাসীদের প্রতি তাঁর সরকারের প্রতিশ্রুতি এবং তাঁদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের একটি অংশ ছিল।
/anm-bengali/media/media_files/1000069635.jpg)
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি রাজ্য বিধানসভায় বলেছেন যে, জঙ্গলের অধিকার জনজাতি এবং আদিবাসীদের হাতেই থাকা উচিত। তিনি জানান, বর্তমান রাজ্য সরকার আদিবাসীদের সুরক্ষার পক্ষে কাজ করছে এবং তাদের জমি কেড়ে নেওয়া যাবে না। তিনি আরও বলেন, পূর্ববর্তী সময়ে জনজাতিদের জমি দখল করা হত, তবে এখন এ ধরনের অন্যায় আর সহ্য করা হবে না।
এ বক্তব্যের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দিতে চেয়েছেন। বিরোধীরা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে রাজ্যের এক মন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছিলেন। কিন্তু মমতা আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য তার সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলি তুলে ধরে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।
/anm-bengali/media/media_files/1000069632.jpg)
তিনি এও বলেছেন, তৃণমূল সরকার সবসময়ই আদিবাসীদের উন্নয়নের পক্ষে এবং তাদের স্বার্থে কাজ করে চলেছে, যা বিরোধী দলগুলির দাবি ভ্রান্ত প্রমাণিত করে। আদিবাসী অধিকার রক্ষায় এই ধরনের প্রতিশ্রুতি রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাৎপর্যপূর্ণ।