নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্ধমানের রাজা কোনদর্প নারায়ণের মন্দির প্রতিষ্ঠার পটভূমি ইতিহাসে গভীরভাবে প্রোথিত। রাজা তার নদীপথের যাত্রায় প্রতি বছর আমাবস্যায় বাগনানের খালোড়ে আসতেন, যেখানে তিনি মাটির মূর্তি পূজা করতেন। একবার পূজার পর তিনি স্বপ্নে নির্দেশ পান যে এখানে একটি স্থায়ী মন্দির প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
এরপর, রাজা মন্দির নির্মাণের উদ্যোগ নেন এবং নিত্য পূজার ব্যবস্থা করেন। প্রথমে মাটির দুটি মূর্তি পূজা করা হলেও, সময়ের সাথে সাথে সেগুলো নষ্ট হয়ে যায়। তখন আবার স্বপ্নাদেশের মাধ্যমে শ্যামপুরের গনেশ চন্দ্র মন্ডল নিম কাঠের একটি মূর্তি তৈরি করেন, যা আজও পূজিত হয়।
মন্দিরটি এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান, যেখানে দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা এসে পূজা-অর্চনা করেন। স্থানীয় জনগণের বিশ্বাস অনুযায়ী, এখানে আসলে মনস্কামনা পূর্ণ হয়। মন্দিরের সংস্কার এবং পূজা-অর্চনার প্রচেষ্টা বর্তমান সময়েও চলমান, যা ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরছে।
এছাড়াও, প্রতিবছর বিশেষ উৎসব পালিত হয়, যেখানে হাজারো ভক্ত সমবেত হন। এই সমস্ত প্রথা এবং আচার-অনুষ্ঠান মন্দিরের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে এবং এটি একটি আধ্যাত্মিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।