নিজস্ব সংবাদদাতা, জামুড়িয়াঃ নিজের সাধারণ শ্রমিক পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন। আর তাই এলাকায় দেখেছেন কত ছাত্র-ছাত্রী পারিবারিক অভাবের কারণে স্কুলছুট হয়ে যায়। কতজনের পড়ার উৎসাহ'ই তৈরি হয় না। আর তাই ২৫ বছর আগে গ্রামাঞ্চলের শিশু-কিশোরদের শিক্ষার আলোয় নিয়ে আসতে জাহানার খান শুরু করেছিলেন বালবোধন শিক্ষা নিকেতন। উদ্দেশ্য ছিল যে সমস্ত শিশু কিশোররা শিশু শ্রমিকের খাতায় নাম লেখাচ্ছে, ইটভাটা, কৃষি জমি, কয়লা খাদানে যারা পড়াশোনা ছেড়ে কাজ করতে চলে যায়, তাদেরকে পুনরায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা শিক্ষার আঙিনায়। প্রথমে ছোট ছোট স্কুল হলেও ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে।
বর্তমানে জাহানারা খানের স্কুলে প্রায় ২৮৭ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। প্রথম শ্রেণী থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো হয় স্কুলে। স্কুলে যারা পঠন-পাঠন করে শিক্ষিত হয়েছে তারাই পরবর্তীকালে শিক্ষক-শিক্ষিকা হয়ে স্বেচ্ছাশ্রম দিচ্ছেন। জাহানারা খান জানিয়েছেন,' যাদের সাধ্য আছে তারা সাধ্যমত স্কুল চালানোর জন্য খরচ দেয়।
যাদের সাধ্য নেই তাদেরকে বিনামূল্যেই পড়ানো হয় এই স্কুলে। শুধু তাই নয় এলাকায় ঘুরে ঘুরে যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল ছুট হয়ে যায় তাদের পুনরায় ফিরিয়ে নিয়ে আসেন জাহানারা খান। বিধায়ক থাকার সময়েও রোজই সময় করে ছুটে আসতেন কচিকাচাদের মাঝে।
বর্তমানে তিনি লোকসভার প্রার্থী। প্রচারের ব্যস্ততা বেড়েছে। তবু সুযোগ পেলেই স্কুলে আসেন এবং ছাত্র ছাত্রীদের পড়ান। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষন সময় কাটিয়ে যান প্রার্থী। কখনও কারও বাইকে বা স্কুটিতে করে আসেন। কখনও নিজেই সাইকেল চালিয়ে স্কুলে পৌঁছান। আর ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে অভিভাবক, সবার কাছেই খুব প্রিয় তাদের জাহানারা দিদিমণি।