নিজস্ব সংবাদদাতা, জামুড়িয়াঃ প্রচারের শেষ দিনে জামুড়িয়া বিধানসভার কেঁন্দা পঞ্চায়েত এবং পড়াসিয়া পঞ্চায়েতের বিভিন্ন বুথে কখনো পায়ে হেঁটে বা কখনো টোটোতে চেপে প্রচার সারলেন ইনডি জোট প্রার্থী সিপিআইএম এর জাহানারা খান। তিনি সকাল সকাল ভোট প্রচার সেরে জামুড়িয়া অজয় ওয়েস্ট এরিয়া অফিসে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেই সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, ' গত দুমাস ধরে তিনি আসানসোল লোকসভার সাতটি বিধানসভার প্রতিটি ঘরে গিয়ে প্রচার করেছেন। তিনি মানুষের ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন এবং তিনি আসানসোল লোকসভা আসনে জয় লাভ করবেন বলেও আশাবাদী। '
তিনি আরও জানান যে,' শিল্পাঞ্চলে পানীয় জলের সমস্যা যেমন রয়েছে তেমনি ধস বা দূষণের সমস্যা রয়েছে। শিল্পাঞ্চলে বামফ্রন্ট সরকারের সময় প্রচুর শিল্প হয়েছিল। প্রচুর স্থানীয় ছেলে সেখানে নিয়োগ পেয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে স্থানীয় বেকার যুবকরা সেই সমস্ত কারখানায় কাজ পান না শাসকদলের নেতাদের জন্য। ' তিনি আবারও জানান যে,' পশ্চিমবাংলায় বিজেপি এবং তৃণমূল একই নীতি ও আদর্শে বিশ্বাস করে। তাই বাংলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং গৌরবকে বাঁচাবার জন্য মানুষ ইনডি জোট প্রার্থীকেই ভোট দেবেন। '
রাজ্য সরকারের কারামন্ত্রী অখিল গিরির রাজ্যপালকে কুরুচিকর মন্তব্য করার প্রসঙ্গে তিনি জানান, '' এটাই হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের সংস্কৃতি। তৃণমূল কংগ্রেস সংবিধান মানে না। এর আগেও রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন অখিল গিরি। নোংরা রাজনীতি করা তৃণমূল কংগ্রেসের আদর্শ। তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা যদি এই ধরনের অপশব্দ ব্যবহার করেন, তাহলে তৃণমূলের নিচু স্তরের কর্মীরা কি ধরনের শব্দ ব্যবহার করেন সেটা বোঝাই যায়। ''
তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা এবং বিজেপি প্রার্থী এসএস আলুয়ালিয়া প্রসঙ্গে তিনি জানান, '' দুজন প্রার্থীই এক রকম। দুজনেই দল পরিবর্তন করেছেন। একজন বিজেপিতে এসেছেন আরেকজন তৃণমূলে এসেছেন। '
জাহানারা খান দাবী করেছেন যে,' বিগত নির্বাচনের মত এবারও নির্বাচনের সময় সন্ত্রাস ও বুথ দখলের চেষ্টা করবে। প্রচারে গিয়ে তিনি নিজে বাধাপ্রাপ্ত না হলেও বিভিন্ন জায়গায় তাদের দলের পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ছিড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পোস্টারের ছবিতে কালি লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বা বিকৃত করা হয়েছে। ' এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম নেতা মনোজ দত্ত এবং প্রদেশ কংগ্রেসের সদস্য বিশ্বনাথ যাদব।