পল্লবী সান্যাল : বাংলা ক্যালেন্ডারের পাতা শেষ। চৈত্রের শেষে বৈশাখকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বাঙালি। করোনার আগমনের আগে প্রতিবার হালখাতা, পুজোপাঠ, খায়াদাওয়া, হুল্লোড়ে কাটতো দিনটা। নতুন বছরের প্রথম দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে পরিকল্পনা করা হতো বিভিন্ন অনুষ্ঠানের। ধীরে ধীরে করোনা পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। ফলে নববর্ষ উদযাপন নিয়ে বাঙালির উন্মাদনাও তুঙ্গে। আগামীকাল সকলে সকলকে বলব, 'শুভ নববর্ষ'। টিভি-রেডিওয় বাজবে বর্ষবরণের সঙ্গীত 'এসো হে বৈশাখ, এসো এসো'। দিন ২৪ পরেও আবার এই গানই ভেসে আসবে কানে। কারণ বৈশাখের ২৫ তারিখ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন। রবি ঠাকুরের 'তোতাকাহিনী' ও 'পুরাতন ভৃত্য' রচনা অবলম্বনে নির্মিত নাটকে বৈশাখকে স্বাগত জানানোর ডালি সাজিয়েছে নাট্যদল 'চন্ডীতলা প্রম্পটার'। একদিকে যেমন ১ বৈশাখ মানে নববর্ষ, অন্যদিকে তেমন চণ্ডীতলা প্রম্পটারের জন্মদিনও। বিশেষ এই দিনে তাই বিশেষ ভাবনা ভেবেছেন দলের কর্ণধার প্রদীপ রায়। অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে হতে চলেছে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। প্রথমে ছোটদের অভিনয়ে ফুটবে খাঁচা বন্দী তোতাকে শিক্ষাদানের কাহিনী। পরবর্তী পর্যায়ে মঞ্চস্থ হবে পুরাতন ভৃত্য। সংসার-সম্পর্কের রসায়ন ফুটে উঠবে বড়দের অভিনয়ে।