কসবায় নিরীহ শিক্ষকদের উপর নৃশংস নির্যাতনের পর, ব্যর্থ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বন্ধ দরজার আড়ালে আর কোন নতুন ভয়াবহ ষড়যন্ত্র করছেন? মমতা ব্যানার্জিকে কি বললেন সুকান্ত মজুমদার?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসল চেহারা আবারও উন্মোচিত হয়েছে- মুখ্যমন্ত্রীকে চরমতম নিশানা
মমতাকে নিশানা সুকান্তর
আজকের রাশিফল : মকর-মীনের ভাগ্যে কী লেখা আছে আজ?
আমাদের আন্দোলন কেবল তীব্রতর হবে, প্রতিদিন আরও শক্তিশালী হবে যতক্ষণ না এটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দোরগোড়ায় এবং নবান্নের ১৪ তলা পর্যন্ত পৌঁছায়- মমতাকে চরমতম নিশানা
গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী কি বললেন ?
ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় প্রতিবাদ মিছিল
চাকরিহারা শিক্ষকদের ডিআই অফিস ঘেরাও অভিযান
ভোটার তালিকা ও জাল ভোটার সংক্রান্ত বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিল নির্বাচন কমিশন

কালো মুরগির পরিচর্যা সম্পর্কে জানুন

author-image
Harmeet
আপডেট করা হয়েছে
New Update
কালো মুরগির পরিচর্যা সম্পর্কে জানুন

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ কালো মুরগি সাধারণত কচি ঘাসপাতা খায়। সেই অর্থে প্রতিপালনের কোনও খরচ নেই বললেই চলে। আপাতদৃষ্টিতে লাভজনক মনে হলেও আসলে অতটা লাভ হয় না। ছাড়া মুরগি কখনও অন্যত্র ডিম পেড়ে আসে, কখনও রোগে মারা যায়। তাই দেশি মুরগির পালন লাভজনক করতে হলে কিছু নিয়ন্ত্রণ থাকা দরকার। ব্রয়লার খামারের হাইব্রিড মুরগি উঠোনে ছেড়ে পালন করা যায় না। তাই খাঁটি জাতগুলোকে বাছতে হবে। যেমন, রোড আইল্যান্ড রেড (আরআইআর) বা ব্ল্যাক অস্ট্রালর্প। রঘুনাথপুর, বালুরঘাটের রাজ্য মুরগি খামারে লাল বা আরআইআর এবং কালো বা ব্ল্যাক অস্ট্রালর্প মুরগির বাচ্চা পাওয়া যায়। ইদানীং কালে বনরাজা, গিরিরাজা, গ্রামরপ্রিয়া ইত্যাদি জাত কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা হয়েছে। মুরগি রাত্রেবেলা রাখার জন্য ঘর বানাতে হবে। মাটি থেকে সামান্য উপরে বাঁশ বা কাঠ দিয়ে কম খরচে খড় বা টালি ঢেকে ঘর তৈরি করতে হবে। তবে ঘরগুলো যেন শুকনো, পরিষ্কার হয়, আলো-বাতাস চলাচলের উপযোগী হয়। প্রতিটি পাখির জন্য গড়ে তিন বর্গফুট জায়গা ধরতে হবে। দেশি মুরগি চরে বেড়িয়ে তার খাবার সংগ্রহ করে নিলেও, এই ধরনের উন্নত জাতের মুরগির পুরো উৎপাদন ক্ষমতা কাজে লাগাতে অল্প পরিমাণে সুষম খাবার দেওয়া প্রয়োজন। চালের গুঁড়ো (৩০০ গ্রাম), খুদ বা গম ভাঙা (২৮০ গ্রাম), সর্ষে/ তিল খোল ( ২০০ গ্রাম), মাছ বা সোয়াবিন গুঁড়ো (২০০ গ্রাম), ভিটামিন ও খনিজ লবণ মিশ্রণ যেমন সাপ্লিভিট এম (২০ গ্রাম) মিশিয়ে মুরগির সংখ্যা অনুযায়ী মাথা পিছু ৫০-৭০ গ্রাম হিসাবে অর্ধেক সকালে ও অর্ধেক বিকালে খেতে দিতে হবে। রাতে মুরগি রাখার যে ঘর আছে, সেখানে নির্দিষ্ট পাত্রে জল ও খাবার দিতে হবে। যাতে সকালে ঘর থেকে বেরনো বা পরে ঘরে ঢোকার সময় ওই খাবার ও জল খাওয়া অভ্যাস তৈরি হয়। এই অভ্যাস থাকলে ওষুধ গুলে খাওয়াতে সুবিধা হয়। মুরগির খাবার সবসময় শুকনো ও পরিষ্কার রাখতে হবে। বেশি দিন জমা রাখলে ছত্রাক সংক্রমণ ঘটে। সাকুল্যে ৫-১০টি মুরগিকে একসাথে রাখা যেতে পারে। বাড়ির আশপাশে চরে বেড়িয়ে বাড়ির উচ্ছিষ্ট খাবার, পোকামাকড়, কেঁচো, কচি ঘাসপাতা খায় তারা। সংকরায়ণ পদ্ধতিতে দেশি মুরগির সঙ্গে উন্নত মোরগ রেখে প্রাকৃতিক প্রজনন ঘটিয়ে দেশি মুরগির জিনগত উৎকর্ষতা বাড়ানো যায়। প্রতি ১০টি দেশি মুরগি পিছু ১টি উন্নত জাতের মোরগ রাখতে হবে। যে সংকর মুরগি জন্মাবে, তা দেশি মুরগির চেয়ে দ্রুত (৪-৫ মাস বয়সে) এবং প্রায় দ্বিগুণ (বছরে ১২০-১৪০টি) ডিম দেবে। রোগব্যাধি মুরগি পালনের অন্যতম সমস্যা। তাই নিয়মিত মুরগির ঘর চুন বা জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। প্রতি মাসে একবার করে কৃমিনাশক ওষুধ (পাইপেরাজিন তরল বয়স অনুযায়ী ০.৫-১ মিলি) জলে গুলে খাওয়াতে হবে। রানিক্ষেত বা বসন্তের মতো কয়েকটি সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে নিয়মিত টিকাকরণ জরুরি। টিকা দেওয়ার দশ দিন আগে কৃমির ওষুধ খাওয়াতে হবে। টিকাকরণ বিশেষত রানিক্ষেত টিকা ৭-১০ দিন বয়সে নাকে বা চোখে এক ফোঁটা, ৩০ দিন বয়সে আর এক বার, ২ মাস বয়সে প্রথম কৃমির ওষুধ এবং আড়াই মাস বয়সে ডানার তলায় ০.৫ মিলি ইঞ্জেকশন অবশ্যই নিতে হবে। ঝিমুনি, সর্দি, শ্বাসকষ্ট, পাতলা বা রক্ত পায়খানা নজরে এলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যাকট্রিম ডিএস বা সেপম্যাক্স (১টি বড়ি ১০টি বড় বা ২০টি বাচ্চা মুরগির জন্য) খাবারে বা জলে গুলে ড্রপারে করে খাইয়ে দিতে হবে (৩/৫/৭ দিন)। এইভাবে মুরগির পরিচর্যা করতে পারলে খামারিদের অধিক লাভ হওয়া সম্ভব।