বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থানগুলো পরিদর্শন করে গঙ্গা বিলাস এখন ভারতের পথে

author-image
Harmeet
New Update
বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থানগুলো পরিদর্শন করে গঙ্গা বিলাস এখন ভারতের পথে

হাবিবুর রহমান, ঢাকাঃ বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থানগুলো পরিদর্শন করে গঙ্গা বিলাস এখন ধুবড়ি হয়ে ভারতে প্রবেশ করবে। প্রমোদতরীটি বাংলাদেশের সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ অরণ্যের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে চিলমারী ও রংপুরের উত্তর প্রান্ত পর্যন্ত ২ সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দেশকে অতিক্রম করে। বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভ্রমণটি পর্যটকদের জন্য যেমন রোমাঞ্চকর ছিল, তেমনি এটি বাংলাদেশের পর্যটক সম্ভবনাকে উৎসাহিত করবে। প্রকৃতির অনুগ্রহ, সেই সঙ্গে বাংলাদেশের শিল্প ও স্থাপত্যের অমূল্য ঐতিহ্য। আজ শুক্রবার সকালে বাংলাদেশের চিলমারী থেকে প্রমোদতরী গঙ্গা বিলাস ভারতের আসাম রাজ্যের ডিব্রুগড়ের দিকে যাত্রা শুরু করেছে। এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় ২৮ জন পর্যটক নিয়ে চিলমারী নদী বন্দরের ব্রহ্মপুত্র নদে গঙ্গা বিলাস নোঙর করে। পরে নদের মাঝে নোঙর করা প্রমোদতরীতে পর্যটকরা রাত্রিযাপন করেন। বৃহস্পতিবার সকালে প্রমোদতরী থেকে স্পিড বোটে করে বন্দরে এসে মাইক্রোবাসে করে রংপুরে যাত্রা শুরু করেন পর্যটকরা। প্রমোদতরীর পর্যটকরা বৃহস্পতিবার বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে নির্মিত জাঁকজমকপূর্ণ তাজহাট প্রাসাদ দেখতে রংপুরে যাত্রা করেন। প্রাসাদ একটি সুরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভ, স্থাপত্যের একটি চমৎকার উদাহরণ। ক্রুজ সদস্যরা শতাব্দী প্রাচীন ডিমলা কালীমন্দির এবং এক শতাব্দীরও বেশি পুরোনো কারমাইকেল কলেজ পরিদর্শন করেন। তারা রংপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিসৌধ ও ভাষা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে সন্ধ্যায় চিলমারীতে ফিরে প্রমোদতরীতে রাত্রিযাপন করেন পর্যটকরা। চিলমারী নৌ-বন্দরে অবস্থান করা প্রমোদতরীটি দেখতে আসেন স্থানীয়রা। পর্যটকরা বন্দরে পৌঁছালে তাদের অভ্যর্থনা জানান কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উত্তম কুমার, চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহাবুবার রহমান ও উপজেলা চেয়ারম্যান রোকনুজ্জামান শাহীন। উল্লেখ্য, এই প্রমোদতরীটি চলতি বছরের গত ৬ জানুয়ারি ভারতের বারাণসী থেকে যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে ২৭ নদ-নদীর ৩ হাজার ২০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের চিলমারী হয়ে ভারতের আসাম রাজ্যের ডিব্রুগড়ে গিয়ে যাত্রা শেষ করবে। এই প্রমোদতরীর প্রত্যেক পর্যটককে গুণতে হয়েছে ১২ লাখ ৫৯ হাজার ভারতীয় রুপি।