গভীর নিম্নচাপে ভারী বৃষ্টিপাত, বাংলায় বাড়ছে বিপদের আশঙ্কা! কি বলছে আবহাওয়া দফতর?

দিন রাত চলছে ভারী থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাত। প্রতিনিয়ত দফায় দফায় যে হারে বৃষ্টি চলছে তাতে রাজ্যের বৃষ্টির ঘাটতি অনেকটাই পূরণ হয়েছে।

author-image
Probha Rani Das
New Update
heavy rain  in tamil nadu.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ অবশেষে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে বর্ষার দাপট। দিন রাত চলছে ভারী থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাত। প্রতিনিয়ত দফায় দফায় যে হারে বৃষ্টি চলছে তাতে রাজ্যের বৃষ্টির ঘাটতি অনেকটাই পূরণ হয়েছে। তবে প্রবল বৃষ্টির ফলে কৃষকদের চিন্তা কিছুটা কমেছে। তবে এরই মধ্যে বিপদের আশঙ্কা আসছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

delhirain

গভীর নিম্নচাপের কারণে তৈরি হওয়া ভারী বৃষ্টিপাতে ইতিমধ্যেই নাজেহাল রাজ্যবাসী। এরই মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় জলমগ্ন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। একাধিক জেলা এবং শহরে নদীর জলে ডুবে গেছে রাস্তা। যার ফলে সাধারণ মানুষের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে।  

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গভীর নিম্নচাপের ফলে ভারী বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। যার ফলে বিপদের আশঙ্কা রয়েছে বাংলার জেলায় জেলায়। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও রাজ্যের আশাপাশে থাকা রাজ্যগুলিতেও বৃষ্টির প্রভাব ব্যাপক ভাবে পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খণ্ডে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার ফলে নদীতে জল বাড়ছে। ফলে ঝাড়খণ্ডের একাধিক জায়গায় সতর্কতা জারি হয়েছে।

e429ots8_kerala-rains_625x300_30_May_24.webp

প্রসঙ্গত, সেই কারণেই ঝাড়খণ্ডে জল ছাড়তে শুরু করেছে ডিভিসি। জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডে ২৪ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়ছে ডিভিসি। এছাড়াও গালুডি ও মশানজোড় জলাধারও জল ছাড়তে পারেসুতরাং ঝাড়খণ্ডের জলে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এরাজ্যের বেশ কিছু সংলগ্ন জেলাগুলিতে। এছাড়া সিকিম ও ভুটান নিয়েও আশঙ্কা রয়েছেঅর্থাৎ সিকিম ও ভুটানের বিস্তীর্ণ এলাকায় বৃষ্টি হলে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হবে উত্তরবঙ্গ।

heavy rainfall2.jpg

সম্প্রতি কেরালার ওয়েনাডে যে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটেছে, তাতে ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বহু মানুষ। এছাড়াও প্রায় ৩০০ মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন এখনও বহু মানুষ। ওয়েনাডে এখনও চলছে উদ্ধার কাজ। জল-কাদা সরালেই হদিশ মিলছে মৃতদেহের। এবার বাংলাতেও সেই আশঙ্কা করেই চিন্তায় রয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

পশ্চিমবঙ্গের বিশেষ পাহাড়ি নদীতে জল বাড়লে হতে পারে ভয়াবহ দুর্যোগতার সাক্ষী তিস্তা নদীর পারের বাসিন্দারা। তাই এক্ষেত্রে আগে থেকেই প্রশাসন সতর্কতা নেবে এবং সচেতন থাকবে বলে আশা করছে বাংলার মানুষজন। 

Adddd