ট্যাব দুর্নীতির মাঝেই এবার স্কুলের অফিস থেকে উদ্ধার মদের বোতল!

তদন্ত নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। 

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
WhatsApp Image 2024-11-09 at 17.23.28

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: ট্যাব দুর্নীতি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে ছিল যে স্কুলে। সেখানেই এবার কলুষিত শিক্ষাঙ্গন। ঠিক যে সময় স্কুলে তদন্তে রয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। সেই সময় স্কুলের অফিস ঘরের পাশে একটি আলমারির নীচে থেকে উদ্ধার হল মদের বোতল। সেই ছবি ধরা পরে সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায়। তারপরেই ছড়িয়ে পড়ে তুমুল উত্তেজনা। অন্যদিকে তদন্তের পর প্রধান শিক্ষককে তলব করা হয়েছে। তদন্ত নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। 

এদিন দিনভর টানটান উত্তেজনা দেখা গেল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কনুয়া ভবানীপুর হাই স্কুলে। ট্যাব দুর্নীতি কাণ্ডে শিরোনামে উঠে এসেছিল এই স্কুল। ৩৪ জন পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা ঢুকে গেছে অন্য অ্যাকাউন্টে। অভিযোগ উঠেছিল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

এদিন মহকুমা শাসক এবং স্কুল পরিদর্শক আসেন তদন্তে। তখন বিক্ষোভ দেখান জোট পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ। কাঠগড়ায় দাড় করান প্রধান শিক্ষককে। তারপর তদন্ত চলাকালীন ঘটে এই ঘটনা। 

cdghccguj

যদিও প্রধান শিক্ষক রাজা রায় চৌধুরী কোন মন্তব্যই করতে চাননি এই বিষয়ে। স্কুলের আরেক সহ শিক্ষক যিনি তৃণমূল পরিচালিত চাঁচল ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ। তিনি রীতিমতো তেড়ে আসেন সংবাদ মাধ্যমের দিকে। সমগ্র ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে পড়ে প্রশাসন।

শনিবার রাজ্য সরকার ছাত্র-ছাত্রীদের স্বপ্নের’ প্রকল্পে ট্যাব দেওয়া জন্য যে ১০ হাজার করে টাকা দিত, সেই টাকায় অন্যের অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে বলে চাঞ্চল্য ছড়ায়। সেই টাকা পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে না ঢুকে চলে যায় ‘বিদ্যালয়ের এক ক্লার্কের অ্যাকাউন্টে। এমনই ঘটনা ঘটে হবিবপুর থানার অন্তর্গত কেন্দপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ে।

cdfhgfg

একই ঘটনা দেখা যায় কনুয়া ভবানীপুর হাই স্কুলেও। এই নিয়ে হইচই পড়ে জেলা জুড়ে। মালদায় অন্তত দেড়শো পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা জমা পড়ে অন্য অ্যাকাউন্টে। ১৫ লক্ষ টাকারও বেশি কার্যত উধাও। এই বিষয় নিয়ে যখন পরিস্থিতি উত্তপ্ত ঠিক সেই সময়ই এই স্কুলে ঘটলো এমন ঘটনা, যা নিয়ে সত্যিই শিক্ষাঙ্গনই প্রশ্নের মুখে পড়েছে।