অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের খিচুড়িতে টিকটিকি! গুরুতর অসুস্থ শিশুরা

অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের খিচুড়িতে টিকটিকি পড়ে যায়। সেই খিচুড়ি খেয়ে অসুস্থ হয়ে যায় একাধিক শিশু। ক্ষীরপাই হাসপাতালে ৩০ জন শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে বিডিও।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
khirpai khichuri.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতা: অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের খিচুড়িতে টিকটিকি। সেই খিচুড়ি খেয়ে অসুস্থ পড়েছে  একাধিক। ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ইতিমধ্যে ক্ষীরপাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩০ জন। ঘটনাস্থলে বিডিও থেকে শুরু করে পুলিশ।

এমনই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের মাংরুল গ্রাম পঞ্চায়েতের লোড়পুর এলাকায়। এলাকার মানুষজনের অভিযোগ লোড়পুর অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রে অন্যান্য দিনের মতো আজ খিচুড়ি রান্না হয়েছিল,সেই খিচুড়ি টিফিন বক্সে বন্ধ করে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে খাবার সময় এক অভিভাবক  দেখতে পান সিদ্ধ হওয়া বড় একটি টিকটিকি, ছড়িয়ে পড়ে তীব্র আতঙ্ক। জানা যায় সেই খিচুড়ি খেয়ে নিয়েছিল অনেক অভিভাবক ও শিশু, এমনকি কয়েকজন বমি করতেও শুরু করেছিল বলে জানা যায়। বিষয়টি জানাজানি হতেই অতি দ্রুত অসুস্থদের ক্ষীরপাই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়।  খবর পেয়ে হাসপাতালে যান চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের বিডিও কৃষ্ণেন্দু বিশ্বাস। এছাড়াও হাসপাতালে উপস্থিত হয়েছে রামজীবনপুর ফাঁড়ির আইসি রাজকুমার দাস,ক্ষীরপাই ফাঁড়ির আইসি গোবর্ধন শাহু। প্রশাসনিক আধিকারিকরা সমস্ত রোগী ও তার পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেন। যদিও এ বিষয়ে ক্ষীরপাই হাসপাতালের বি এম ও এইচ  নিরঞ্জন কুতি বলেন,অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রে বাচ্চাদের যে খাবার দেওয়া হয়েছিল তাতে কিছু একটা পড়ে গিয়েছিল। বেশ কয়েকজন বমি করেছে। প্রত্যেককেই নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের সহায়িকা পূর্ণিমা মন্ডলের দাবি,প্রত্যেকেই টিফিন বক্সে বন্ধ করে খিচুড়ি নিয়ে গিয়েছিল বাড়িতে তাই বাড়িতেও টিকটিকি পড়তে পারে। ব্লকের বিডিও কৃষ্ণেন্দু বিশ্বাস জানান,সবাই সুস্থ আছে অবজারভেশনে রয়েছে,চিকিৎসকদের সাথে কথা হয়েছে।" তবে গোটা ঘটনায় ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীদের বিরুদ্ধেই সমস্ত দায় চাপিয়ে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অবহেলার অভিযোগ তুলেছে অভিভাবকরা।