নিজস্ব সংবাদদাতা : পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক শহরের ৫১ পীঠের এক পীঠ দেবী বর্গভীমা মন্দিরে শনিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে সপ্তসতী যজ্ঞ ও বাৎসরিক পুজো। পুজো চলবে পুরো দিনজুড়ে, এবং সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত চলবে এই পবিত্র অনুষ্ঠান।
এদিন, তমলুকের ইতিহাস বিখ্যাত মা বর্গভীমা মন্দির সেজে উঠেছে। প্রতি বছরই এই মহাযজ্ঞের জন্য মুখিয়ে থাকেন তমলুক সহ জেলার মানুষ। বহুদূরান্ত থেকেও ভক্তরা এখানে এসে এই মহাযজ্ঞের অংশগ্রহণ করেন। বিশেষত, সূর্যের আলোতে আতসকাঁচে আগুন ধরিয়ে যজ্ঞের আগুন জ্বালানো হয়, যাতে বেলকাঠ, ঘি, ধুনো, কর্পূর মাখানো থাকে। এই যজ্ঞে দশমহাবিদ্যা, গণেশ, ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহালক্ষী, মহাসরস্বতী, মহাকালি, রুদ্র, শান্তি, নবগ্রহ, বরুণ, বাচস্পতি সহ নানা দেবদেবীর পূজা করা হয়।
মন্দিরের সেবাইত সমীরন অধিকারী জানান, "এই মহাযজ্ঞের মূল উদ্দেশ্য হল বিশ্বের শান্তি কামনা করা। প্রতি বছর কাত্যায়নী চতুর্দশীর তিথিতে এই পুজো ও যজ্ঞের অনুষ্ঠান হয়।" এই মহাযজ্ঞে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় কুইন্টাল কাঠ এবং আড়াই থেকে তিন কুইন্টাল ঘি ব্যবহৃত হয়, পাশাপাশি বিভিন্ন ভেষজও হোমে দেয়া হয়। পুজো এবং যজ্ঞের সময়, চন্ডী মহাকাব্যের ৭০০ শ্লোক পাঠ করে মায়ের কাছে আহুতি দেওয়া হয়। মন্দিরের পুরোহিত প্রণব চক্রবর্তী জানান, "আজকের দিনে বিশেষভাবে মায়ের ভোগ রান্না করা হয়।"
এছাড়া, কলকাতা থেকে আগত ভক্ত জয়িতা ব্যানার্জি বলেন, "এই পুজো আমাদের জন্য এক বিশেষ আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা। প্রতি বছর আমরা এই যজ্ঞে অংশ নিতে আসি।" বৈশ্বিক শান্তির উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত এই মহাযজ্ঞে, তমলুকের মানুষ একত্রিত হয়ে শান্তি এবং কল্যাণের জন্য প্রার্থনা করেন।