বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভেতর এলোপাথাড়ি চালানো হল গুলি- গণহত্যার চেষ্টায় মৃত্যু একাধিক- ফের শিরোনামে যুক্তরাষ্ট্র- সকাল সকাল বুক কেঁপে যাবে
ট্রাকে আগুন
যানবাহন তল্লাশি দিল্লি পুলিশের
কিরেন রিজিজু এবং রেখা গুপ্তার বিহু উদযাপনে যোগ দিয়েছেন
স্মারকলিপি স্বাক্ষর করতে পারে ইউক্রেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
কিশোরকে ছুরিকাঘাত, দিল্লি
সেই ঘোষ বাবু যদি তার স্ত্রীর সাথে সংসার করতে পারতেন তাহলে আজকে তার স্ত্রী হিজাব পড়ে হিন্দুদের নরসংহার করতেন না- দিলীপের হয়ে দেবাংশুকে চরমতম নিশানা
কলকাতায় পা দিয়ে এনসিডব্লিউ চেয়ারপারসন বিজয়া রাহাতকর কি বলেছেন?
কলকাতায় পৌঁছলেন এনসিডব্লিউ চেয়ারপারসন বিজয়া রাহাতকর- নিয়েছেন দৃঢ় লক্ষ্য

চাকরি করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায় ছাত্রী! পায়ে শিকল পরিয়ে ঘরবন্দি করে রাখল বাবা-মা

বিয়েতে অমত থাকার জন্য মেয়েকে শিকল পরিয়ে রাখল বাবা-মা।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
শিকল ২

নিজস্ব সংবাদদাতা: নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে ভবিষ্যত গড়তে চেয়েছিলেন ১৯ বছরের তরুণী। কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। উদ্দেশ্য ছিল, পড়াশোনার খরচ নিজে সামলে আত্মনির্ভর হওয়া। কিন্তু, অভিযোগ, মেয়ের এই স্বাবলম্বী মানসিকতাই মেনে নিতে পারেননি তাঁর বাবা-মা। তাই ‘শাস্তি’ স্বরূপ মেয়েকে ঘরে আটকে রাখা হয়—পায়ে বাঁধা হয় লোহার শিকল!

এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার ঘুসুড়ি এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত তরুণীর নাম আরতি সাউ। তিনি বড়বাজারের সাবিত্রী মহাবিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। পাশাপাশি, নিউ ব্যারাকপুরের একটি সংস্থায় সেলস টিমে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। এই প্রশিক্ষণের সময়ই অফিসের কাছে অস্থায়ীভাবে থাকা শুরু করেন তিনি।

প্রশিক্ষণ শেষে বাড়ি ফিরতেই বাধে বিপত্তি। আরতির দাবি, তাঁর বাবা-মা জানান, চাকরি বন্ধ করে দিতে হবে এবং খুব শীঘ্রই তাঁর বিয়ে দেওয়া হবে। পাত্র দেখা শুরু হয়ে গিয়েছে বলেও জানানো হয়। তবে, আরতি বিয়েতে স্পষ্ট আপত্তি জানান। বলেন, এখনই বিয়ে নয়, বরং পড়াশোনা শেষ করে নিজের কেরিয়ার গড়তে চান তিনি।

shikal

এই মতবিরোধ থেকেই শুরু হয় চরম অশান্তি। অভিযোগ, মেয়েকে ‘শান্ত’ করতে তাঁকে ঘরে আটকে রাখা হয় এবং পায়ে পরানো হয় লোহার শিকল!

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দীর্ঘ বোঝাপড়ার পর অবশেষে মুক্ত করা হয় তরুণীকে। আপাতত তাঁকে একটি ‘নিরাপদ আশ্রয়’-এ পাঠানো হয়েছে।

একবিংশ শতকে এসে মেয়েদের স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টাকে এভাবে দমন করার ঘটনাটি ঘিরে রীতিমতো ক্ষোভ ও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্থানীয় মহলে।