বনমালী সন্নিগ্রাহী, বাঁকুড়াঃ সারেঙ্গা ব্লকের জগদানন্দ সন্ন্যাস আশ্রম। এখানে মা দুর্গা দশভূজা নন, তিনি সহস্রভুজা। সারেঙ্গা ব্লকের খামানী গ্রামের জগদানন্দ সন্ন্যাস আশ্রমে গত ৩৫ বছর ধরে হয়ে আসছে দুর্গাপুজো। আশ্রমের স্বামীজি মহেশ্বরানন্দ গিরি মহারাজের নিজের হাতে গড়া মূর্তিতে ভক্তি শ্রদ্ধা ভরে হয় পুজো। এবার এই আশ্রমেই দেবীদুর্গা দশভুজা নন, সহস্রভুজা। প্রায় ছয় মাস আগে থেকে শুরু হয়েছে মূর্তি গড়ার কাজ।
এবার পুজোর বিশেষত্ব সহস্রভুজা দেবী দুর্গা। সম্ভবত এই প্রথম কোথাও সহস্রভুজা বা ১০০০ হাতের দেবী দুর্গার মূর্তি গড়ে হবে পুজো। দিনরাত এক করে চলছে শেষ মূহুর্তের মূর্তি গড়ার কাজ। আশ্রমের চিরাচরিত রীতি মেনেই অসুর বিনাশিনী সহস্রভুজা বা এক হাজার হাতের দেবী দুর্গার পুজো হবে আশ্রমে।
পুজোর দিনগুলিতে এইও আশ্রমে চলে অখন্ড হরিনাম সংকীর্তন। এখানে হয় না পশু বলি। নবমীর দিন হয় কুমারী পুজো ও চন্ডী পাঠ। এলাকার মানুষ জন থেকে দূরদুরান্ত থেকে আগত মানুষ জন গ্রহণ করেন মায়ের অন্নভোগ। রাজ্য বিভিন্ন জায়গা থেকে ভক্তরা তো আসেনই, রাজ্য ছাড়িয়ে পড়শী রাজ্য থেকেও আসেন ভক্তরা।
পুজোর বিশাল অঙ্কের অর্থের ভার কাঁধে তুলে নেন আশ্রমের ভক্তরাই। পুজোর আয়োজনে নেমে পড়েন এলাকার আপামর জনগন। এবার পুজোর বিশেষত্ব সহস্র ভুজা দেবী দুর্গা। সম্ভবত এই প্রথম কোথাও সহস্র ভূজা বা ১০০০ হাতের দেবী দুর্গার মূর্তি গড়ে হবে পূজা। তাই সেই পুজো উপলক্ষে স্থানীয় মানুষজন থেকে আপামর জনগণের আলাদা আগ্রহ রয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু কেন এখানে মায়ের রূপ সহস্রভুজা।