নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজ্য সরকার ছাত্র-ছাত্রীদের স্বপ্নের’ প্রকল্পে ট্যাব দেওয়া জন্য ১০ হাজার করে টাকা দেয় বহু বছর ধরে। কিন্তু সেই টাকাতেও এবার পড়লো হাত। সেই টাকা পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে না ঢুকে চলে যাচ্ছে ‘বিদ্যালয়ের এক ক্লার্কের অ্যাকাউন্টে। এমনই ঘটনা ঘটেছে হবিবপুর থানার অন্তর্গত কেন্দপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয় তরফ থেকে এই নিয়ে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। এ নিয়ে হইচই পড়ে জেলা জুড়েও।
হবিবপুর থানায় লিখিত অভিযোগের পরেই হবিবপুর থানার পুলিশ লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে। অন্য কোনও অ্যাকাউন্টের টাকা কীভাবে অন্য অ্যাকাউন্টে গেল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সুত্রে জানিয়েছে। মালদহে অন্তত দেড়শো পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা জমা পড়েছে অন্য অ্যাকাউন্টে। ১৫ লক্ষ টাকারও বেশি কার্যত উধাও। প্রশ্নের মুখে একাধিক স্কুল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা।
একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য মাথাপিছু সরকারের বরাদ্দ ১০ হাজার টাকা। অথচ, এই টাকা প্রকৃত পডুয়াদের অ্যাকাউন্টে না ঢুকে চলে যাচ্ছে কার্যত ভুতুড়ে অ্যাকাউন্টে।
মালদহে অন্তত তিনটি স্কুলের ক্ষেত্রে এমন বড়সড় অনিয়ম দেখা গিয়েছে। দেখা যাচ্ছে, তালিকায় ছাত্রদের নাম ঠিক রয়েছে, কিন্তু অ্যাকাউন্ট নাম্বার বদলে গিয়েছে। ফলে প্রকৃত প্রাপক পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টের বদলে টাকা চলে গিয়েছে অন্য অ্যাকাউন্টে।
মালদহে ট্যাবের টাকা গায়েবের সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ হবিবপুরের কেন্দপুকুর হাইস্কুল থেকেই এসেছে। এখানে ৯১ জন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্ট নম্বর রহস্যজনকভাবে বদলে গিয়েছে।
ইতিমধ্যে ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হবিবপুর থানায় এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগে স্কুলের এক কর্মী এই ডাটা এন্ট্রির কাজ করেছেন বলে জানানো হয়েছে।
অভিযোগ, পেয়ে আজ ওই স্কুলে তদন্তে পৌঁছয় হবিবপুর থানার পুলিশ। এই নিয়ে মালদহ জেলা শিক্ষা দপ্তর বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে সমস্ত পড়ুয়া ঠিকঠাক টাকা পেয়েছে কিনা তা লিখিত আকারে জানাতে বলা হয়।
অন্য দিকে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের কনুয়া ভবানীপুর হাইস্কুলে ৩৪ জন ছাত্রের টাকাও গায়েব। স্কুলের তৈরি তালিকাতেই ছাত্রদের নামের পাশে রয়েছে ভুল অ্যাকাউন্ট নাম্বার। শনিবার গরমিলের কথা স্বীকার করেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। একইভাবে মালদহের গাজোলের চাকনগর পঞ্চায়েতের ডোবাখোকশান বৈরডাঙী ক্ষান্তরানী হাইস্কুলে আরও ১৮ জন ছাত্রের টাকা উধাও। চলে গিয়েছে অন্য অ্যাকাউন্টে।
ওই দু'টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে পুলিশে অভিযোগ জানানোর নির্দেশ দিয়েছে জেলা শিক্ষা দপ্তর। ছাত্রদের ট্যাবের টাকার গরমিল রুখতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন মালদহের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক বাণীব্রত দাস।