হরি ঘোষ, অন্ডাল : কলেজ ছাত্রীকে অশ্লীল মন্তব্য ও কু প্রস্তাবের ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা অন্ডালের খান্দরা কলেজ চত্বরে। কলেজের এক ছাত্রীকে অশ্লীল মন্তব্য করার পাশাপাশি কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠল কলেজেরই প্রাক্তন জেনারেল সেক্রেটারির বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদে কলেজের গেট আটকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অভিযুক্তকে কাজ থেকে অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বাউরি সমাজের প্রতিনিধিরা। কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ছিল পুলিশ বাহিনী । বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ নিজের দোষ স্বীকার করে কলেজের অধ্যক্ষের কাছে ও বাউরি সমাজের লোকেদের কাছে লিখিত আকারে ক্ষমা চায় অভিযুক্ত পারিজাত রায় । বাউরি সমাজের পক্ষ থেকে বলা হয় লিখিত আকারে ক্ষমা চাওয়ার কারণেই তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হল । বাউরি সমাজের পক্ষ থেকে নীলকন্ঠ বাউরি জানান, ''সংবিধান মেনেই তারা আন্দোলন করেছেন, কারো চাকরি যেমন দেওয়ার ক্ষমতা নেই, কারো চাকরি খাবারও অধিকার নেই। আর যেখানে লিখিত আকারে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে সে কারণেই তাকে ক্ষমা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বাউরি সমাজ ।''
সূত্র মারফত জানা যায় , অন্ডাল ব্লকের খান্দরা কলেজের অস্থায়ী কর্মচারী পারিজাত রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে ওই কলেজেরই বিএ দ্বিতীয় বর্ষের বাউরি সমাজের এক ছাত্রীকে গত ২৬ মে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অশ্লীল মন্তব্য করার। বিষয়টি ওই ছাত্রী তাদের পশ্চিমবঙ্গ বাউরি সমাজ কল্যান সমিতিকে জানালে বাউরি সমাজের কয়েকজন প্রতিনিধি কলেজের অধ্যক্ষের কাছে গতকাল অর্থাৎ বুধবার বিষয়টি জানান। কিন্তু অভিযোগ পেয়েও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা কলেজ কর্তৃপক্ষ না নেওয়ায় বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টা থেকে বাউরি সমাজের লোকজন কলেজের গেট আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাদের দাবি, অবিলম্বে অভিযুক্ত পারিজাত রায়কে কাজ থেকে বরখাস্ত করতে হবে। ঘটনায় বেশ কয়েকবার কলেজ কর্তৃপক্ষ সমাজের কয়েকজন প্রতিনিধিকে ডেকে আলোচনায় বসেন, কিন্তু আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় বেলা তিনটে পর্যন্ত বিক্ষোভ অব্যাহত রাখে বাউরি সমাজ। এদিনের এই ঘটনায় কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতর দেখা যায় এলাকার বহু তৃণমূল নেতা স্বাচ্ছ্যন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কিন্তু সাংবাদিকরা কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতর সংবাদ সংগ্রহ করতে ঢুকতেই কলেজের অশিক্ষক কর্মীদের দ্বারা বাধা প্রাপ্ত হন ।