নিজস্ব সংবাদদাতা: কোচবিহারের এমজেএন মেডিক্যাল কলেজের হস্টেল থেকে উদ্ধার হল এক মেডিক্যাল পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ। মৃত ইন্টার্নের নাম কিষাণ কুমার। প্রাথমিক অনুমান, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। তবে কেন তিনি এমন চরম সিদ্ধান্ত নিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়েন, মানসিক চাপ নাকি অন্য কোনো কারণ—এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
বুধবার রাত ১২টা ১০ মিনিট নাগাদ পুলিশ খবর পায় যে, হস্টেলের এক ঘরে ইন্টার্ন চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ দেখা গেছে। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে অ্যাম্বুল্যান্সে করে এমজেএন হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর কথা থাকলেও, আশ্চর্যজনকভাবে তা রাতভর অ্যাম্বুল্যান্সেই পড়ে থাকে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মৃতদেহ মর্গে রাখা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘ সময় দেহ বাইরে পড়ে থাকায় তা পচন ধরতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়। কেন এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গাফিলতি হল, তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। যদিও এই অব্যবস্থার বিরুদ্ধে মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার সকালে কলেজে এসে অধ্যক্ষ জানতে পারেন যে, কিষাণের দেহ এখনও অ্যাম্বুল্যান্সেই রয়েছে। তিনি দ্রুত মর্গের কাছে পৌঁছান এবং ঘটনাটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। অবশেষে দুপুর ১২:৪৫ নাগাদ দেহ মর্গে রাখা হয়।
এদিকে, কী কারণে এত দীর্ঘ সময় দেহ মর্গে না নেওয়া হল, তার তদন্ত শুরু করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ। কোথাও কোনো প্রশাসনিক গাফিলতি হয়েছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অধ্যক্ষের মতে, কিষাণের মতো মেধাবী ছাত্রের এমন করুণ পরিণতি মেনে নেওয়া কঠিন। মাত্র দুই মাস পরেই তার মেডিক্যাল সার্টিফিকেট পাওয়ার কথা ছিল। তার আগেই এমন ঘটনা, যা সবাইকে স্তম্ভিত করেছে। এখন প্রশ্ন একটাই—এই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য দায়ী কে? উত্তর খুঁজছে সবাই।