নিজস্ব সংবাদদাতা: আরজি করের ঘটনা নিয়ে সরব তো ছিলই রাজ্য রাজনীতি। জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদে বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন উপায়ে পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল বিরোধী দলগুলি। আর সেগুলোর প্রতিবাদ করতেও ছাড়েনি তৃণমূল। আর এবার নতুন করে জন্ম নিল নয়া বিতর্ক।
সিপিএমের বরিষ্ঠ নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যের কীর্তি কাহিনী এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চার বিষয়। মহিলা সাংবাদিককে হেনস্থা করার অভিযোগে অভিযুক্ত তন্ময় ভট্টাচার্য। যা নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি। ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।
এদিন তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “সঙ্গীতা ঘড়ুই আজকে সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য নামে যে অভিযোগটা করেছে সেটা মারাত্মক। সঙ্গীতাকে আমরা চিনি তার কাজের সূত্রে। বিভিন্ন সময় আমাদের ইন্টারভিউ নিয়েছে মেয়েটি এবং অত্যন্ত ভালো মেয়ে।
তন্ময় ভট্টাচার্যের নাতনির বয়সী হবে অথবা তার থেকেও ছোট হবে হয়তো। তার সাথে এরকম ভাবে নোংরামি করার সাহস কোথা থেকে পেলেন তন্ময় বাবু?
বামপন্থীদের মধ্যে ফাঁকা ফ্লাটে লেনিন বোঝানো চলতে পারে, কিন্তু তাই বলে নাতনির বয়সী একজনের সাথে যে নিজের কাজের সূত্রে তন্ময় ভট্টাচার্যের কাছে গিয়েছিল ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য তার সাথে এরকম ব্যবহার কি করে করা সম্ভব?
এই বাচ্চা মেয়েটি তার ফেসবুকে পুরো বিষয়টি জানিয়েছে, এখানে দেখলাম অনেকে কমেন্ট করেছেন এবং তারা বলেছেন যে তারাও তন্ময় বাবুর কাছে একই রকম ব্যবহার অতীতে পেয়েছেন।
সাফাই দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে এই বলে যে তিনি নাকি ইয়ার্কি করে এটা করেছেন। এইরকম নোংরা ধরনের ইয়ার্কি বামপন্থীদের মধ্যে চলে নাকি? সভ্য সমাজে এটার কোন জায়গা নেই। দুজন consenting adults তাদের পারস্পরিক ব্যবহার কি রকম রাখবেন সেটা তাদের ব্যাপার কিন্তু একজনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে এইরকম করাটাকে molestation বলে। এর আগেও নাকি অনেকের সাথে এরকম ঘটনা ঘটেছে কিন্তু তারা সাহস পায়নি, সঙ্গীতাকে তার সাহস দেখানোর জন্য কুর্নিশ জানাই”।