নিজস্ব সংবাদদাতা : খাস কলকাতার কসবা অঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেসের ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সুশান্ত ঘোষ যখন নিজের বাড়ির সামনে বসেছিলেন, তখন দু’জন দুষ্কৃতী তাঁর সামনে এসে বন্দুক দিয়ে গুলি চালায়। তবে, গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বাড়ির দরজায় লাগে এবং অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন সুশান্ত ঘোষ।
/anm-bengali/media/media_files/2024/11/15/1000104267.jpg)
এ বিষয়ে সুশান্ত ঘোষ জানান, দুই যুবক তাঁর কাছে এসে তাঁর বুকে বন্দুক ঠেকায়। প্রথমবার বন্দুকের ট্রিগার চেপে গুলি চলে না কারণ ট্রিগার লক হয়ে যায়। দ্বিতীয়বার ট্রিগার চেপে বন্দুক থেকে গুলি বের হলেও তা বাড়ির দরজায় লাগে। তিনি ওই দুষ্কৃতীকে থাপ্পড় মেরে বন্দুকটি তার হাত থেকে ছিনিয়ে নেন, এরপর গুলি ছিটকে দরজায় লাগে। স্থানীয় বাসিন্দারা চিৎকার শুনে ছুটে আসেন, এবং দুষ্কৃতীকে ধরা পড়তে দেখে পুলিশের হাতে তুলে দেন। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অপর দুষ্কৃতী, যিনি বাইক নিয়ে আসছিল।
ঘটনার পর সুশান্ত ঘোষ বলেন, "এটা একটি ঘটনা, তবে আমি এখনই কিছু বলব না। যে যুবক এসেছিল, সে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিল এবং তার কাছে যে অস্ত্র ছিল, তাতে মনে হচ্ছে এর পেছনে কোনো বড় ব্যক্তি রয়েছেন।" তিনি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সন্দেহ উড়িয়ে দিয়েছেন।
/anm-bengali/media/media_files/2024/11/15/1000104268.jpg)
এছাড়া, পূর্বে হালতুতে নবীন সঙ্ঘ কালীপুজো মণ্ডপ ভাঙচুরের ঘটনায় ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর লিপিকা মান্নার সঙ্গে সুশান্ত ঘোষের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠেছিল। ফলে, এই গুলি চালনার পেছনে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা, তা নিয়ে চলছে জল্পনা।