নিজস্ব প্রতিবেদন : শুভেন্দু অধিকারী ফের তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন আরজি কর মেডিক্যালের চিকিৎসকদের ময়নাতদন্ত সংক্রান্ত একটি বিতর্কিত দাবি নিয়ে। ফরেন্সিক বিভাগের অধ্যাপক অপূর্ব বিশ্বাস জানিয়েছেন, "তাড়াতাড়ি ময়নাতদন্ত করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল।" এ তথ্যকে কেন্দ্র করে শুভেন্দু সামাজিক মাধ্যমে মন্তব্য করেছেন, "এটা আরও আশ্চর্যের যে, সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়, যিনি নিহতের আত্মীয় নন, তিনি শ্মশানের নথিতে সই করেছিলেন।"
/anm-bengali/media/media_files/IkPc4azjWJCSFu5MB9Z3.jpg)
এ ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে এবং বিরোধী দলের পক্ষ থেকে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও নৈতিকতার প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের কার্যকলাপ নিয়ে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া আসছে, যা রাজনীতির অঙ্গনে উত্তেজনা বাড়াতে পারে।
/anm-bengali/media/media_files/YZqrWXAkg2yhe5j7gmcN.jpg)
মেয়ের মৃতদেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের দাবি জানাতে টালা থানায় গিয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। এই প্রেক্ষাপটে আরজি কর মেডিক্যালের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস অভিযোগ করেছেন, "তাড়াতাড়ি ময়নাতদন্ত করতে চাপ দেওয়া হয়েছিল।" তিনি জানান, নিহতের কাকা পরিচয়ে এক ব্যক্তি হুমকি দেয়, "যদি ময়নাতদন্ত দ্রুত না করা হয়, রক্তগঙ্গা বইবে।" সেই ব্যক্তি পানিহাটি পুরসভার প্রাক্তন সিপিএম কাউন্সিলর, যিনি পরে তৃণমূলে যোগ দেন এবং পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষের ঘনিষ্ঠ।
/anm-bengali/media/media_files/bCcB7ics5VEumFZnb1QB.webp)
এই বিস্ফোরক তথ্যকে কেন্দ্র করে শুভেন্দু অধিকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, "ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানাচ্ছেন, চিকিৎসকের দেহ তাড়াহুড়ো করে সৎকার করা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শ্মশানে হাজির ছিলেন নির্মল ঘোষ। আশ্চর্যজনকভাবে, সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়, যিনি নিহতের আত্মীয় নন, শ্মশানের নথিতে সই করেছেন।" এটি রাজনীতির ময়দানে নতুন বিতর্কের সূচনা করেছে এবং বিরোধী দলের পক্ষ থেকে প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও নৈতিকতার প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।