নিজস্ব সংবাদদাতা: সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে আক্রান্ত হলেন রোগীর আত্মীয়। হাবরা থানায় অভিযোগ জানালেন হাসপাতালের গেটম্যানদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবরা হাসপাতালে। সরকারি হাসপাতাল নিয়ে মাঝে মাঝেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন অভিযোগ উঠে আসে। এবার হাবড়া হাসপাতাল থেকে যে অভিযোগ উঠে আসলো তা একপ্রকার বিস্ফোরক।
সোমবার সকালে হাবরা থানার ফুলতলার গ্রামের বাসিন্দা সুজিত হাজরা তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে হাবরা হাসপাতাল এসছিলেন রক্ত পরীক্ষা করাতে সে সময় জরুরি বিভাগের গেটে কর্তব্যরত বেশ কয়েকজন গেটম্যান এক মহিলার সঙ্গে অবভ্য আচরণ করছিল হাসপাতালের ভেতরে ঢোকা নিয়ে। সে সময় হাবরা ফুলতলার বাসিন্দা সুজিত হাজরা দেখে প্রতিবাদ করতে গেলে একটি ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে নিয়ে যায় গেটম্যানরা, এলোপাথাড়ি মারতে থাকে তাঁকে আর ফোন কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ নাক ফাটিয়ে দেয়।
রক্তাক্ত অবস্থায় কোন রকম হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে যুবক হাবরা থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয়। পাশাপাশি, তাঁর অভিযোগ স্ত্রীর রক্ত পরীক্ষা করাতে এসেছিলেন সেই প্রেসক্রিপশন তাঁরা করে রেখে দেয় এবং বলে সরকারি হাসপাতালে কেন এসেছ চিকিৎসা করাতে বিনা পয়সায় চিকিৎসা করাতে এলে সহ্য করতে হবে সব। নইলে বেসরকারি হাসপাতালে যান। হাসপাতাল কর্মীদের এই দুর্ব্যবহার অবাক সবাই।
পাশাপাশি, রোগীর আত্মীয়কে মেরে নাক ফাটিয়ে দেওয়ার মত ঘটনা জানিয়ে রোগী এবং রোগীর আত্মীয়দের ভেতর আতঙ্ক ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। ইতিমধ্যে হাবড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে ঘটনার তদন্তে হাবরা থানার পুলিশ।