‘পুলিশ ও রাজ্য সরকার এখনও নীরব’, অভিযোগ জানালেন অধীর চৌধুরী
মুর্শিদাবাদকে শান্ত করার কৌশল জানালেন যোগী আদিত্যনাথ! কী বললেন তিনি
'শোকলকে পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা'! নতুন করে বিতর্কে ইউসুফ পাঠান
আনন্দ-উৎসবে রাম মন্দিরে আতঙ্ক, বোমাতঙ্ক মন্দির প্রাঙ্গণে
পদ্মার পাড়ে বসে কবিতা লিখবেন! মুর্শিদাবাস ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ অধীর রঞ্জন চৌধুরীর
ওয়াকফ আইন বিরোধী হিংসার ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি তুললেন মহম্মদ সেলিম
হাঁড়িতে ভাত ফুটছিল, তখনই হামলা... মালদার ত্রাণ শিবিরে আতঙ্কে দিন কাটছে বেতবনা গ্রামের বাসিন্দাদের
রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হোক পশ্চিমবঙ্গে ! এবার মুর্শিদাবাদ হিংসার ঘটনায় গর্জে উঠলেন হেভিওয়েট সাংসদ
ঠিক কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী ! এবার ওয়াকফ আইনকে সমর্থন জানালেন সৈয়দ নাসেরুদ্দিন চিশতি

নেতাজি ইন্ডোরে বৈঠক শুরুর আগেই হাতাহাতিতে জড়ালো যোগ্য-অযোগ্য চাকরিহারারা!

যোগ্য-অযোগ্য বিতর্ক একপ্রকার বিপজ্জনক মেরুকরণে পৌঁছেছে।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
mamatassc.jpg

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: সোমবার সকাল থেকেই উত্তেজনায় ফেটে পড়ল কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম চত্বর। এসএসসি মামলায় চাকরি হারানো 'যোগ্য' প্রার্থীদের সঙ্গে 'অযোগ্য'দের দ্বন্দ্বে এলাকা কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। স্লোগান, বচসা, ধস্তাধস্তি - কোনো কিছুই বাদ যায়নি। গতরাতেই শহিদ মিনার চত্বরে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়, যা সকালেও প্রশমিত হয়নি - বরং আরও বেড়েছে।

চাকরিচ্যুতদের একটি অংশ নিজেদের ‘যোগ্য’ দাবি করে জানায়, তারা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারালেও দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন না। অন্যদিকে, যাদের নাম আদালতের পর্যবেক্ষণে 'অযোগ্য' তালিকাভুক্ত হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে যোগ্য-অযোগ্য বিতর্ক একপ্রকার বিপজ্জনক মেরুকরণে পৌঁছেছে।

1654501106_ssc-scam (1)

ইন্ডোরের সামনে যখন উত্তেজনা চরমে, ঠিক তখনই বাবুঘাট এলাকাতেও বিক্ষোভে ফেটে পড়েন চাকরিচ্যুত ‘যোগ্য’ প্রার্থীরা। তাঁরা রাজপথে বসে “চাকরি ফেরাও” স্লোগান তুলতে শুরু করেন। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে উত্তেজনা আরও বাড়ে। নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হয় কলকাতা পুলিশকে।

প্রার্থীদের দাবি, “আমরা আদালতের নির্দেশে চাকরি হারালেও, আমরা দুর্নীতিগ্রস্ত নই। আমাদের মূল প্যানেল থেকেই নিয়োগ করা হয়েছিল। আমাদের স্থান ফেরত চাই। কোনো ভাতা বা সহানুভূতি নয়—আমাদের চাকরি ফেরাতে হবে”।

আর কিছুক্ষণ পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরিচ্যুতদের একাংশের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানানো হয়েছে। তার আগেই এমন বিক্ষোভ, উত্তেজনা সরকারের উপর চাপ আরও বাড়াল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।