নিজস্ব সংবাদদাতা: জয়নগরে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় গতকালই অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। পকসো আদালতে মামলা স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। একই সাথে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এইমসের বিশেষজ্ঞরা ময়নাতদন্ত করবেন বলে জানা যাচ্ছে।
সেই মোতাবেক আজ সকালেই কলকাতার কাঁটাপুকুর মর্গ থেকে বেরলো নাবালিকার নিথর দেহ। যাত্রা কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের দিকে। মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা রয়েছে সঙ্গে। গতকাল জয়নগরের নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত নিয়ে একটি জটিলতা তৈরি হয়। পরিবার রাজ্য পুলিশের অধীনে রাজ্য সরকারি হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করাতে চায় না। সেই আবেদন নিয়েই রবিবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পরিবার।
প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নির্দেশ মেনে রবিবারই জরুরী ভিত্তিতে মামলার শুনানি হয় হাইকোর্টে। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে নজিরবিহীন ভাবে রবিবার শুনানি হয়। এর প্রেক্ষিতে রাজ্যের তরফে আদালতে সওয়াল করা হয়, কেন্দ্রীয় কোনও হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করার ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা রাজ্যের নেই। শুনানি পর্বে উঠে আসে একাধিক হাসপাতালের নাম। সব শেষে কল্যাণী এইমস আর কল্যাণী জেএনএম এই দুই হাসপাতালের নামই স্থির করা হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার গভীর রাতে চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীর দেহ উদ্ধারকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় দক্ষিণ ২৪ পরগণার জয়নগরে। ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এলাকায় পুলিশ ক্যাম্প থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বাড়ি থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে ওই ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয় বলে জানিয়েছেন মৃত ছাত্রীর বাবা। একটি জলাজমিতে পড়েছিল ওই ছাত্রীর দেহ। সারা দেহে ছিল আঘাতের চিহ্ন। তাতেই পরিবারের লোকজন অভিযোগ করে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাঁদের মেয়েকে। এরপরই জল গড়ায় বহুদূর। আর এবার কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে গেল নাবালিকার দেহ, ময়নাতদন্ত করবে এইমসের চিকিৎসকেরা।