নিজস্ব সংবাদদাতা: মায়ানমারে একদিকে ভূমিকম্পের ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ, অন্যদিকে গৃহযুদ্ধের আগুন—দুই মিলিয়ে দেশটি চরম সংকটে। যেখানে সারা বিশ্ব মানবিক সহায়তার জন্য মায়ানমারের পাশে দাঁড়িয়েছে, সেখানে সামরিক শাসকরা বিদ্রোহীদের দমন করতে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, ভূমিকম্পের মাত্র তিন ঘণ্টা পরই মায়ানমারের সামরিক বাহিনী পূর্ব শান প্রদেশে বিমান হামলা চালায়। এরপর উত্তর-পশ্চিমের সাগাইং অঞ্চল, যা ভারতের মণিপুর ও নাগাল্যান্ডের সংলগ্ন, সেখানেও হামলা হয়। থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতেও বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়েছে সামরিক বাহিনী।
ভয়াবহ ভূমিকম্পে মায়ানমারে এখন পর্যন্ত অন্তত ১,৬৪৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যেই দেশটির গৃহযুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ নেই। তবে বিদ্রোহী সংগঠন ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’ (PDF) ঘোষণা করেছে, তারা ৩০ মার্চ থেকে দুই সপ্তাহের জন্য সংঘর্ষবিরতি পালন করবে।
এদিকে, সামরিক জান্তার বিরোধী ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’ (NUG) জানিয়েছে, তারা জাতিসংঘ এবং অন্যান্য এনজিওগুলোর সঙ্গে মিলে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় কাজ করবে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর গদিচ্যুত রাজনীতিবিদরা মিলে এই সরকার গঠন করেছিলেন। বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে তারা সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে আন্দোলনের পরিবর্তে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
/anm-bengali/media/media_files/2025/03/31/k6gr4UBiytRpy6QhNE4t.jpg)
দেশটির মানবিক সংকট আরও গভীর হচ্ছে, যেখানে একদিকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা মানুষের আর্তনাদ, অন্যদিকে বিমান হামলার গর্জন—এই দুই বিপর্যয়ের মাঝে মায়ানমারের ভবিষ্যৎ এখন চরম অনিশ্চয়তার মুখে।