সইফ আলি খানের হামলাকারীর বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক খুনের মামলা! স্বীকার করল বাংলাদেশ পুলিশ

সইফ আলি খানের হামলাকারীর বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক খুনের মামলা।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
SAIF ATTACKER

নিজস্ব সংবাদদাতা: মুম্বইয়ে অভিনেতা সইফ আলি খানের ওপর হামলাকারী শরিফউল ইসলাম শেহজাদ একজন বাংলাদেশি নাগরিক, এমনটাই নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। এ ছাড়া, তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশে একাধিক খুন এবং ছিনতাইয়ের অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের এক পুলিশ আধিকারিক।

প্রাথমিকভাবে গ্রেফতারির পর শরিফউলকে বাংলাদেশি বলে মানতে অস্বীকার করেছিল কিছু বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম। তবে পরে তাঁর বাংলাদেশি পরিচয় ও অপরাধের তথ্য প্রকাশ্যে আসে। শরিফউলের বাড়ি বাংলাদেশের ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার রাজাবাড়িয়া গ্রামে। তবে বাবার চাকরির সুবাদে তিনি খুলনায় বসবাস করতেন। সেখানেই তাঁর অপরাধমূলক কার্যকলাপ শুরু হয়।
 
খুলনায় থাকাকালীন একাধিক অপরাধের অভিযোগে তিনি পুলিশের নজরে আসেন। নলছিটির মোল্লারহাটে এক যুবককে হত্যার ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। গ্রেফতারি এড়াতে তিনি বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুস সালাম জানান, ঢাকাতেও তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে একাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনাতেও তাঁর নাম জড়িত।


গত বৃহস্পতিবার ভোররাতে মুম্বইয়ের বান্দ্রায় নিজের বিলাসবহুল আবাসনে আক্রান্ত হন অভিনেতা সইফ আলি খান। শরিফউল তাঁকে ছুরি দিয়ে একাধিকবার আঘাত করেন।
ঘটনার পর প্রায় ৭২ ঘণ্টা তদন্ত চালিয়ে মহারাষ্ট্রের ঠানেতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। প্রথমে শরিফউল নিজেকে কলকাতার বাসিন্দা বলে দাবি করলেও, তার কাছ থেকে বাংলাদেশি জন্ম সনদ উদ্ধার হওয়ার পর বিষয়টি স্পষ্ট হয়।

বাংলাদেশের পুলিশ এই বিষয়ে নিশ্চিত করেছে যে, শরিফউলের বিরুদ্ধে খুন এবং অন্যান্য অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। তবে তাঁকে নিয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে বিষয়ে এখনও কোনো নির্দেশ আসেনি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট থানা কর্মকর্তারা। এই ঘটনার ফলে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস ও অনুপ্রবেশের বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়ার প্রয়োজনীয়তা উঠে আসছে। মুম্বই পুলিশের তৎপরতা ও বাংলাদেশ পুলিশের সহযোগিতায় তদন্তের অগ্রগতি কী হয়, তা নিয়ে সকলের নজর থাকবে।