নিজস্ব সংবাদদাতা: দিল্লির দূষিত নদীর কাছে থাকা বাসিন্দাদের প্রতিদিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। যমুনা নদীর বিষাক্ত ফেনা তাদের জীবনে প্রভাব ফেলে। শিল্প বর্জ্য এবং অপরিশোধিত বর্জ্যজলের কারণে এই ফেনা তৈরি হয়, যা স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে। কাছাকাছি থাকা লোকেরা প্রায়শই ত্বকের সমস্যা এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যার সম্মুখীন হয়।
বিষাক্ত ফেনা উচ্চ পরিমাণে অ্যামোনিয়া এবং ফসফেটের ফলাফল। এই রাসায়নিক পদার্থ ডিটারজেন্ট এবং শিল্প বর্জ্য থেকে আসে। বাসিন্দারা প্রায়শই মাথাব্যথা এবং বমি ভাবের কথা জানান। শিশুরা এই অবস্থার জন্য বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ।
দূষণ স্থানীয় উদ্ভিদ এবং প্রাণীর উপর প্রভাব ফেলে। মাছের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। নদী থেকে খাবার সংগ্রহকারী পাখিরাও প্রভাবিত হচ্ছে। বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, জীববৈচিত্র্যের উপর প্রভাব ফেলছে।
/anm-bengali/media/media_files/9qn8Azh71yGtPefXa8Gh.jpg)
অনুষ্ঠানে নদী পরিষ্কার করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে, আমলাতান্ত্রিক বাধাগুলির কারণে অগ্রগতি ধীর। বাসিন্দারা শিল্প বর্জ্য নিষ্কাশনে কঠোর নিয়ন্ত্রণের দাবি তুলেছেন। তারা আরও ভাল বর্জ্যজল পরিশোধন সুবিধার দাবি করেছেন।
স্থানীয় গোষ্ঠী নদীর তীরে পরিষ্কার অভিযানের আয়োজন করে। তারা দূষণের বিপদের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে। স্বেচ্ছাসেবকরা বাড়িতে রাসায়নিক ব্যবহার কমাতে অন্যদেরকে শিক্ষিত করেন। এই প্রচেষ্টা কিছুটা পরিবেশগত ক্ষতি হ্রাস করতে সাহায্য করে।
দিল্লির নদীর কাছে থাকা লোকদের জন্য পরিস্থিতি ভয়াবহ। গুরুত্বপূর্ণ হস্তক্ষেপ ছাড়া, স্বাস্থ্য এবং পরিবেশগত সমস্যা স্থায়ী হবে।