নিজস্ব সংবাদদাতা: ‘বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান’ ছোট থেকেই এই বিষয়টিই জেনে এসেছি আমরা। আমরা ওরা যে ভেদাভেদ তৈরি হবে তা কিছু মাস আগেও কেউ বুঝতে পারেনি। অথচ আজ বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের কাছে চরম শত্রু দেশ হয়ে উঠেছে এই ভারতবর্ষই। এক সময়ের মিত্রতা যে এরকম ভয়ানক শত্রুতাই পরিণত হতে পারে, তেমনটা কে জানতো। তবে আজ এটাই বাস্তব।
বাংলাদেশে ক্রমাগত অত্যাচারিত, লাঞ্ছিত হতে হচ্ছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের। মৌলবাদীদের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে অনেকেই ভিটে মাটি ছেড়ে ভারতে চলে আসছে। যারা এখনও রয়ে গেছেন ওই দেশে, তারাও সেই প্রাণ হাতে নিয়েই রয়েছেন সেখানে। এতো ভয় নিয়ে কি সত্যিই বাঁচা যায়? সেই ভয় কাটিয়ে বাঁচতে। বন্ধুত্বের সম্পর্ককে শত্রুতায় বদলাতে দেওয়া যাবে না। তাই অসময় হলেও এই সময়ই জয়েন্ট রিট্রিট পালন করলো ভারত বাংলাদেশ।
এবছর অগস্ট মাসেও হয়নি জয়েন্ট রিট্রিট সেরিমনি। ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক এবং মৈত্রী বন্ধন দৃঢ় করতে পেট্রাপোল বন্দরের জিরো পয়েন্টে দুই দেশের জওয়ানরা যৌথ ভাবে রিট্রিট সেরিমনি অনুষ্ঠান করে থাকেন। তবে এবছর ওই সময়ও অশান্তির পরিস্থিতির জন্যেই রিট্রিট বন্ধ থাকে।
তবে এবার এই খারাপ সময়ে মিত্রতা ধরে রাখতেই বর্ডার সিক্যুরিটি ফোর্স এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ তাঁদের যৌথ উদ্যোগে জয়েন্ট রিট্রিট সেরিমনি পালন করেন জলপাইগুড়ি-শিলিগুড়ি ফুলবাড়ি ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্টে। মূলত সুসম্পর্ক এবং ভ্রাতৃত্ব বোধ ধরে রাখতেই এই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়।