উত্তরবঙ্গ সীমান্তে বেআইনি বাঙ্কার নির্মাণের চেষ্টা বাংলাদেশের! কঠোর পদক্ষেপ বিএসএফের

উত্তরবঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বেআইনিভাবে বাঙ্কার নির্মাণের চেষ্টা করছিল বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ (বিজিবি)।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
d

নিজস্ব সংবাদদাতা: উত্তরবঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বেআইনিভাবে বাঙ্কার নির্মাণের চেষ্টা করছিল বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের (বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স) সক্রিয় হস্তক্ষেপে সেই নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়। শুক্রবার বিএসএফের তৎপরতায় বিজিবি-র এই বেআইনি কার্যকলাপ রুখে দেওয়া হয়।

বিএসএফের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান, ৩১ জানুয়ারি উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার এলাকার দহগ্রাম-আঙড়াপোতা এলাকায় বিজিবি একটি সেন্ট্রি পোস্ট বাঙ্কার নির্মাণ করছিল। কিন্তু সেই স্থান আন্তর্জাতিক সীমান্তরেখার মাত্র ১৫০ গজের মধ্যে পড়ে, যা আন্তর্জাতিক চুক্তির পরিপন্থী। বিষয়টি নজরে আসার পরই বিএসএফ দ্রুত হস্তক্ষেপ করে এবং নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়।

এছাড়াও, সীমান্তের ১৫০ মিটারের মধ্যে স্থানীয় কিছু বাসিন্দা একটি কাঠামো নির্মাণের চেষ্টা করছিলেন। বিএসএফ সন্দেহ করে যে সেখানে একটি ঘর তৈরি করা হচ্ছিল। তবে, নিয়মবহির্ভূত হওয়ায় সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তজুড়ে বেআইনি নির্মাণের ঘটনা নতুন নয়। সীমান্তে বারবার এমন ঘটনা ঘটছে, যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এই প্রবণতা রোধে বিএসএফ কমান্ড্যান্ট পর্যায়ে এক বৈঠকের (ফ্ল্যাগ মিটিং) আহ্বান জানিয়েছে।

সূত্রের খবর, শেখ হাসিনার শাসনকালে সীমান্ত এলাকায় বেশ কিছু বৈধ নির্মাণে ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশই সম্মতি দিয়েছিল। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে বিজিবি সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষত, পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার সুখদেবপুর গ্রামে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের বিষয়ে চার বছর আগে দুই দেশ সম্মত হয়েছিল। এখন সেই প্রকল্প বাস্তবায়নে বাধা দিচ্ছে বিজিবি। অন্যদিকে, তারা নিজেরাই সীমান্ত এলাকায় বেআইনি বাঙ্কার তৈরি করার চেষ্টা করছে।

বিএসএফ সূত্রের দাবি, সম্প্রতি সীমান্তের একাধিক বেআইনি বাঙ্কারে অভিযান চালিয়ে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গত সপ্তাহেই কোচবিহারের কুচলিবাড়ির ঝিকাবাড়ি এলাকায় সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকরা দুটি অবৈধ ঘর তৈরি করছিলেন। বিজিবির উপস্থিতিতেই এই নির্মাণকাজ চলছিল বলে অভিযোগ। বিএসএফের মতে, সীমান্ত এলাকায় কোনো স্থাপনা নির্মাণে দুই দেশের যৌথ অনুমোদন থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু, বিজিবি একতরফাভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, যা দুই দেশের সীমান্ত সুরক্ষার জন্য উদ্বেগজনক।