নিজস্ব সংবাদদাতা: নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে ১৮ জনের মৃত্যুর পর, কেন্দ্রীয় সরকার ৬০টি ব্যস্ত রেল স্টেশনে স্থায়ী হোল্ডিং জোন তৈরি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহারের মাধ্যমে ভিড় ও সংকট ব্যবস্থাপনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রেলের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাতে আর এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। যে বিষয়গুলির ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে সেগুলি হল –
১) স্থায়ী হোল্ডিং জোন: অতিরিক্ত যাত্রীদের সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার জন্য প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের আগেই নির্ধারিত এলাকা তৈরি করা হবে।
২) এআই-ভিত্তিক নজরদারি: বিশেষ করে ট্রেন বিলম্বের সময় স্টেশনগুলিতে যাত্রীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হবে AI-এর মাধ্যমে।
৩) ফুটওভার ব্রিজ ও ল্যান্ডিং এলাকায় ক্যামেরা নজরদারি: ফুটওভার ব্রিজ ও সিঁড়ির আশপাশে বসে থাকা যাত্রীদের ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি করা হবে।
৪) সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন: শুধুমাত্র নয়াদিল্লি স্টেশনেই ২০০টি নতুন ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
৫) কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ: প্রয়াগরাজের সাথে সংযুক্ত ৩৫টি স্টেশন একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে নজরদারির আওতায় থাকবে।
৬) প্রতিক্রিয়া মারফত অভিযান গ্রহণ: যাত্রী, কুলি ও দোকানদারদের মতামত নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী সংক্রান্ত সমস্যাগুলি চিহ্নিত করা হবে।
/anm-bengali/media/media_files/2025/02/16/4KnOO4hXcdg6c0EEX4tu.webp)
উল্লেখ্য, শনিবার রাত ১০টার দিকে নয়াদিল্লি রেলওয়ে স্টেশনের সরু সিঁড়িতে বিপুল সংখ্যক যাত্রী হঠাৎ করে ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দিকে দৌড়ে গেলে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে, ঘটনার কারণ হিসেবে, ট্রেনের ঘোষণায় বিভ্রান্তি, ট্রেন ছাড়তে বিলম্ব, স্টেশনে প্রতি ঘন্টায় ১,৫০০-এর বেশি সাধারণ টিকিট বিক্রি হওয়া, উপরে উঠতে চাওয়া ও নিচে নামতে চাওয়া যাত্রীদের সংঘর্ষের কারণেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
এই ঘটনার পরই,
১) রেল মন্ত্রক উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, যা সিসিটিভি ফুটেজ ও অন্যান্য নথি নিয়ে আলোচনা করছে।
২) এদিকে, ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নয়াদিল্লি স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। আজমেরী গেটের দিক থেকে প্রয়াগরাজগামী যাত্রীদের প্রবেশ ও প্রস্থানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৩) ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে সমস্ত বিশেষ ট্রেন পরিচালিত হবে বলে জানা যাচ্ছে।
৪) ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ইতিমধ্যেই ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য এবং গুরুতর আহতদের আড়াই লক্ষ টাকা করে সাহায্য ও সামান্য আহতদের ১ লক্ষ টাকা করে সাহায্য করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
/anm-bengali/media/media_files/2025/02/17/ZM8ArwftqRjdvLHBp0Uy.webp)
আর এবার উন্নত প্রযুক্তিগত ভাবে এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ভ্রমণকারীদের জন্য স্টেশনগুলিকে আরও নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।