SSC Scam: এই মুহূর্তের বড় আপডেট! সব নথি পেয়ে গেল CBI-জড়িত কে?

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সামনে এল বড় আপডেট।

author-image
Aniruddha Chakraborty
আপডেট করা হয়েছে
New Update
CBI pic.jpg

file pic

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ  প্রথমে গরুপাচার মামলা। পরে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছিল বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ মলয় পিটের। ইতিমধ্য সিবিআই দফতরে হাজিরাও দিয়েছেন তিনি। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। প্রশ্ন উঠছে শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে বীরভূমের মলয় পিট কি আরেক কুন্তল ঘোষ? কাজ করতেন মিডলম্যান হিসাবে? মলয় ঘনিষ্ঠ এক এনজিও কর্তার কাছ থেকে উদ্ধার চাকরি প্রার্থীদের একের পর এক তালিকা। সিবিআই জানতে পেরেছে, সেই তালিকার মধ্যে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত ১৭ জন যাঁরা প্রাথমিকে চাকরি পেয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচ জন এখনও চাকরি করছেন। এরা সবাই পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত।

তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এনজিওটি একটি বিএড কলেজ চালায়। ওই এনজিও -র ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সফিউল আলম মণ্ডল নামে ব্যক্তি। ইতিমধ্যেই সফিউলকে এই বছরের জুন মাস থেকে তিনবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই আধিকারিকরা। এমনকী সফিউলের ইমেল আইডিও ঘেঁটে বিস্ফোরক সব তথ্য হাতে পেয়েছে গোয়েন্দারা।

জানা যাচ্ছে, এই ইমেল থেকে ২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ১৭টি ইমেল পুনরুদ্ধার করেছে সিবিআই। প্রতিটিতেই রয়েছে চাকরি প্রার্থীদের তালিকা। উদ্ধার হওয়া মেলের মধ্যে একটি আবার ২০১৭ সালের ১৩ই মার্চ করা হয়েছে।

এখানেই শেষ নয়, বীরভূমের বেসরকারি মেডিকেল কলেজের কর্ণধার এবং একাধিক এনজিও – পরিচালক মলয় পিটের ইমেল থেকে সফিউলের ইমেল আইডিতেও ঢুকেছে ইমেল। সেখানেও রয়েছে চাকরি প্রার্থীদের তালিকা। তাঁদের অনেকে এখনও চাকরি করছেন। এদের মধ্যে অন্যতম আরিফ হোসেন মুন্সি। পূর্ব বর্ধমানের একটি প্রাথমিক স্কুলে চাকরি করছেন তিনি। তাঁর ভাই-বোনও চাকরি পেয়েছে বলে খবর। আরিফের পাঠানো ইমেলও পেয়ে গিয়েছেন গোয়েন্দারা।