নিজস্ব সংবাদদাতাঃ সদ্য মুক্তি পেয়েছে হৃতিক রোশন এবং দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত সিনেমা 'ফাইটার'। বক্স অফিসে ভালোই ব্যবসা করছে ছবি। ‘ফাইটার’-এর কাজ শেষ করেই এবার নতুন প্রোজেক্টে হাত দেওয়ার পালা বলিউডের গ্রিক গডের। যদিও অনুরাগীরা অধীর অপেক্ষায় রয়েছেন হৃতিকের ‘কৃষ’ ফ্র্যাঞ্চাইজির চতুর্থ ভাগের ছবির জন্য।
প্রজেক্টকে ঘিরে ক্রমাগত কৌতূহলের জেরে হৃতিক অবশ্য ইঙ্গিত দিয়েছেন, এখনও অনুরাগীদের লম্বা অপেক্ষা করতে হবে। সুপারহিরোকে বাস্তব রূপ দেওয়ার জন্য একাধিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেই নিয়েই ভক্তদের হৃতিক জানিয়েছেন, ‘এখনও জায়গায় রাখা রয়েছে ফিল্ম’। সাংবাদিকদের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হৃতিক জানিয়েছেন, ‘কৃষ ৪ নিয়ে কথা বলাটা খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে এখন’। আরও যোগ করেছেন, ‘এখনও কাজ চলছে। এমন একটা জিনিস সত্যি বলতে খুব কঠিন। এটার একটা ব্যবসায়িক দিকও রয়েছে। অর্থনৈতিক অবস্থা, তারপর অবশ্য স্ক্রিপ্ট খতিয়ে দেখার বিষয়টা আছে’।
অভিনেতা আরও জানিয়েছেন, এগুলি সব ঠিকঠাক হওয়ার পরই, ‘আমি হাসছি, খুশিও খুব। তবে এখনও অনেকটা যেতে হবে’। গত বছর জানুয়ারি মাসে হৃতিক জানিয়েছিলেন, ‘সামান্য টেকিনিক্যাল বিষয় রয়েছে’ যেই জন্য আটকে রয়েছে কৃষ ৪-এর কাজ। কৃষ ছবির চিত্রনাট্য লিখছেন সঞ্জয় মাসুম। তিনি একটি সাক্ষাৎকারের জানিয়েছিলেন, এই ছবির বিষয়ে খুব উত্তেজিত। এই ছবির কাজ করার সময় একটা টেনশন হয়। সঞ্জয় জানিয়েছেন, বলিউডে এই ছবি ছিল প্রথম সুপার হিরোর। তাই খুব সর্তক হয়ে তাঁকে কাজ করতে হয়েছিল। তিনি অনেক পরিশ্রম করেছেন কৃষ ছবির জন্য । কৃষ ছবির সংলাপ সবটাই তিনি লিখেছিলেন। এবারও তাঁর হাতে সেই দায়িত্ব। সঞ্জয় জানিয়েছেন তিনি তাঁর সেরাটা দিতে চান এই ছবিতে।
২০০৩ সাল থেকে সূচনা হয়েছিল কৃষ ফ্র্যাঞ্চাইজির। প্রথম ছবি ‘কোই... মিল গয়া’। তার পর ২০০৬ সালে ‘কৃষ’ ও ২০১৩ সালে ‘কৃষ ৩’। ফ্র্যাঞ্চাইজির সব ছবিই বক্স অফিসে কমবেশি সফল। হলিউডের সুপারহিরোর ভিড়ে বলিউ়ডের নিজস্ব সুপারহিরো হিসাবে হাজির হয়েছিলেন হৃতিক রোশন। তবে দর্শক ও অনুরাগীদের মধ্যে সাড়া জাগানোর পরেও প্রায় অনিশ্চিত ফ্র্যাঞ্চাইজির ভবিষ্যৎ।
‘কৃষ ৪’ বানাতে হলে বেশ বড় মাপেই বানাতে হবে। হলিউডের এক-একটা সুপারহিরো ছবির বাজেট থাকে ৫০০-৬০০ মিলিয়ন ডলার। আমাদের এখানে সেই বাজেট ২০০-৩০০ কোটির বেশি নয়। এই বাজেটে কী ভাবে ব়ড় মাপের ছবি তৈরি হবে!’ রাকেশের আরও চিন্তা, ‘বাজেটের কারণে যদি আমি ১০টার বদলে ৪টে অ্যাকশন দৃশ্যের শুটিং করি, আর বাকি দৃশ্যগুলো ভিএফএক্স দিয়ে চালিয়ে দিই, তা হলেও তো ভিএফএক্সের গুণগত মানও তেমন হতে হবে।