নিজস্ব সংবাদদাতাঃ দুর্গাষ্টমীতে কুমারী পুজোর চল রয়েছে বহু জায়গায়। অবাঙালিদের মধ্যেও এই রীতির প্রচলন রয়েছে। যেটা বাঙালিদের কাছে কুমারী পুজো বলে পরিচিত, সেটাই অবাঙালিদের কাছে ‘কাঞ্চিকা পুজো’ বা ‘কাঞ্জক পুজো’। সেই রীতি মেনেই দুর্গাষ্টমীর দিন নিজের তিন বছর বয়সি শিশুকন্যাকে পুজো করলেন শিল্পা শেট্টি এবং রাজ কুন্দ্রা।
পর্নকাণ্ডের পর থেকে রাজ-শিল্পার জীবনে বহু ঝড় গিয়েছে। তারপর থেকে লাইমলাইটের আড়ালে থাকতেই পছন্দ করতেন রাজ কুন্দ্রা। কিংবা জনসমক্ষে এলেও মুখ ঢাকা থাকত পেল্লাই সাইজের মাস্কে। তবে নবরাত্রির আগেই চিরতরে সেই মুখোশ পরিত্যাগ করার ঘোষণা করেছেন রাজ। এবার নবরাত্রির আবহে নিজেপ বাড়িতেই কুমারী পুজোয় আয়োজন করলেন রাজ-শিল্পা। মেয়ে শামিসার পা ধুইয়ে পুজো করলেন তারকাদম্পতি। সেই ভিডিও নিজেই সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী।
শিল্পা শেট্টি যে ভিডিয়োটি পোস্ট করেছেন, সেখানে ছোট্ট সামিশাকে দুর্গা প্রতিমার সামনে একটা চেয়ার বসিয়ে পুজো করতে দেখা গিয়েছে রাজ ও শিল্পাকে। ছোট্ট সামিশা চেয়ারে হালকা বেগুনী রঙের একটা কুর্তা, আর সাদা চোস্তা পরে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। শিল্পা ও রাজ পুরোহিতের নির্দেশ মেনে মেয়ের পা ধুইয়ে দিচ্ছে, সামিশার পায়ে ফুল দিয়ে পুজো করছেন। পরে তাঁকে ঘিরে আরতি করতেও দেখা গিয়েছে। এমনকি শিল্পাকে তার ১১ বছরের ছেলে ভিয়ানের কাছে এসেও আরতির ডালা ঘোরাতে দেখা যায়। সবশেষে সামিশাকে আদর করতে দেখা যাচ্ছে দাদা ভিয়ানকে।
ভিডিয়োটি পোস্ট করে শিল্পা লিখেছেন, আজ অষ্টমীর শুভক্ষণে, আমরা আমাদের নিজস্ব দেবী, সামিশা (হার্ট ইমোজি, আশীর্বাদপ্রাপ্ত ইমোজি, নমস্তে ইমোজি)কে কন্যা পূজা করেছি। পরম দেবী মহাগৌরীর নয়টি ঐশ্বরিক রূপের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর এটা একটা মাধ্যম।' শিল্পার এই পোস্টে তাঁর বোন শমিতা শেট্টিও লাল হৃদয়ের ইমোজি জুড়ে দিয়েছেন।
কুমারী পূজা হলো তন্ত্রশাস্ত্রমতে অনধিক ষোলো বছরের কোনও রজঃস্বলা নয় এমন কোনও কুমারী মেয়ের পূজা। বিশেষত দুর্গাপূজার অঙ্গরূপে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। মূলত ব্রাহ্মণ কন্যা, কোনও কোনও ক্ষেত্র অন্য গোত্রের কন্যারও কুমারী পুজোর অংশ করা হয়। নারী শক্তিকে শ্রদ্ধা জানানোর এটা একটা রীতি। ১৯০১ সালে বেলুরমঠে ৯জন কুমারী মেয়ের পুজো করেছিলেন খোদ স্বামী বিবেকানন্দ। সেই রীতি এখনও বেলুরমঠে পালিত হয়। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই রীতি পালন করা হয়ে থাকে।