নিজস্ব সংবাদদাতাঃ অটল বিহারী বাজপেয়ীর রাজনৈতিক জীবনকে ঘনিষ্ঠভাবে চিত্রিত করতে মুক্তি পেয়েছে ‘ম্যায় অটল হুঁ’ সিনেমা। অটল বিহারী বাজপেয়ীর ভূমিকায় দেখা যাবে বলিউড অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠীকে। পঙ্কজ ত্রিপাঠির আসন্ন ছবি ‘ম্যায় অটল হু’ প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের মন জয় করে নিয়েছে।
সম্প্রতি ছবিটি সেন্সর বোর্ডে পাঠানো হয়েছিল। ১৯ জানুয়ারি ছবিটি মুক্তি পেয়েছে এবং দর্শকদের কাছে তা বেশ পছন্দ হয়েছে। তিনবার দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকা অটল বিহারী বাজপেয়ীর রাজনৈতিক জীবনের উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে এই সিনেমা। এই সিনেমাতে তাঁর জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে।
রবি যাদব পরিচালিত ‘ম্যায় অটল হু’-কে U/A সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া সেন্সর বোর্ড কোনো কাটছাট বা পরিবর্তন ছাড়াই ছবিটি পাস করেছে। সকল বয়সের মানুষ এই মুভিটি দেখতে পারবেন। কারণ এটিকে U/A দেওয়া হয়েছে। ‘ম্যায় অটল হু’ ২ ঘণ্টা ১৯ মিনিট ২৯ সেকেন্ডের একটি সিনেমা। এই ছবির ট্যাগলাইন ছিল, 'একজন কবির চেয়েও বেশি। একজন রাজনীতিবিদ থেকেও বেশি, একজন প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও বেশি।‘
এই ছবিতে কৃষ্ণ বিহারী বাজপেয়ীর (অটল বিহারী বাজপেয়ীর বাবা) চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা পীযূষ মিশ্র। তাঁরা ছাড়াও, বিজেপির পূর্ববর্তী রাজনৈতিক দল জন সংঘের প্রয়াত নেতা দয়া শঙ্কর পান্ডে, দীনদয়াল উপাধ্যায় এবং পায়েল কাপুর নায়ার দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। তাছাড়া বিজেপি নেতা প্রমোদ মহাজনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অভিনেতা হর্ষদ কুমার। ছবির ট্রেলারে সোনিয়া গান্ধীর চরিত্রটিও দেখানো হয়েছে। এই সিনেমায় সোনিয়া গান্ধীর চরিত্রে পলা ম্যাকগ্লিনকে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে।
জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠীকে শেষবার Zee5-এর কাদাক সিং-এ দেখা গিয়েছিল। ম্যায় অটল হু-এর পর পঙ্কজ ত্রিপাঠীকে ‘ফুকরে’ সিনেমার পরবর্তী কিস্তিতেও দেখা যাবে। এছাড়া খুব শীঘ্রই অ্যামাজন প্রাইমের বিখ্যাত সিরিজ ‘মির্জাপুর’ তার পরবর্তী সিজন নিয়ে আসছে। এছাড়াও ত্রিপাঠীকে অনুভব সিনহার ‘আভি তো পার্টি শুরু হুই হ্যায়’-তে অভিনয় করতে দেখা যাবে।
মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি খুব কমই বায়োপিকের প্রতি সুবিচার করেছে। তবে তা সমসাময়িক প্রাসঙ্গিক ব্যক্তিত্বই হোক বা ঐতিহাসিক তাৎপর্যপূর্ণ ব্যক্তিত্বই হোক। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক রবি যাদব দ্বারা পরিচালিত এবং সহ-রচিত ‘ম্যায় অটল হুঁ’ সেই বহুল প্রচলিত বিশ্বাসকে পরিবর্তন করতে পারবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।