নিজস্ব সংবাদদাতা: ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপূজার মূর্তি তৈরি করা একটি ক্লান্তিকর প্রক্রিয়া। শিল্পীরা নদীর তীরে থেকে মাটি সংগ্রহ করে শুরু করেন। এই মাটি খড়ের সাথে মিশিয়ে মূল কাঠামো তৈরি করা হয়। বাঁশ এবং কাঠ ব্যবহার করে কাঠামোটির আকৃতি তৈরি করা হয়, যা মাটির জন্য সহায়তা প্রদান করে।
>কাঠামো তৈরি হয়ে গেলে, শিল্পীরা মূর্তির আকৃতি পরিমার্জন করার জন্য মাটির স্তর প্রয়োগ করেন। প্রতিটি স্তর শুকিয়ে যাওয়ার পরে পরবর্তী স্তর যোগ করা হয়, যা স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে। আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে শুকানো প্রক্রিয়া কয়েক দিন সময় নিতে পারে।
বিস্তৃত বিবরণ এবং রঙ
শুকিয়ে গেলে, শিল্পীরা মূর্তিতে জটিল বিবরণ খোদাই করেন। এই পদক্ষেপটি নির্ভুলতা এবং দক্ষতা প্রয়োজন। বিস্তারিত বিবরণে সন্তুষ্ট হলে, তারা মূর্তিটিকে প্রাকৃতিক রঙ দিয়ে রঙ করেন। এই রং উদ্ভিদ এবং খনিজ পদার্থ থেকে উদ্ভূত, ঐতিহ্য বজায় রাখে।
রঙ করার প্রক্রিয়াটিতে জীবন্ত রঙের জন্য একাধিক কোট ব্যবহার করা হয়। সূক্ষ্ম বিবরণের জন্য শিল্পীরা প্রায়শই প্রাণীর চুল দিয়ে তৈরি ব্রাশ ব্যবহার করেন। চোখ শেষে রঙ করা হয়, মূর্তিতে জীবন উদযাপন করার বিশ্বাস করা হয়।
শেষ স্পর্শ
শেষ পর্যায়টি মূর্তিকে অলংকার এবং পোশাক দিয়ে সজ্জিত করার সাথে সম্পর্কিত। এই সরঞ্জামগুলি রেশম এবং সোনার পাতের মতো উপকরণ থেকে তৈরি করা হয়। শিল্পীরা দেবী দুর্গার হাতে ধরা অস্ত্র এবং অন্যান্য প্রতীকী জিনিসও যোগ করেন।
সম্পূর্ণ মূর্তিগুলি তারপর দুর্গাপূজার সময় পূজার জন্য মণ্ডপে পরিবহন করা হয়। এই উৎসব দেবী দুর্গার দুষ্ট শক্তির বিরুদ্ধে বিজয় উদযাপন করে, সমগ্র ভারত থেকে ভক্তদের আকর্ষণ করে।