নিজস্ব প্রতিবেদন : পূজোর বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। কলকাতায় নামিদামী ক্লাবগুলোর পূজোর প্রস্তুতি প্রায় শেষের পথে। অক্টোবরের দুই তারিখ মহালয়া। ইতিমধ্যে কলকাতা শহর সেজে উঠেছে আলোর রোশনাইতে। কলকাতার একাধিক জনপ্রিয় পুজো ক্লাব গুলির মধ্যে অন্যতম হলো 'বেহালা ১১ পল্লী ইউথ অ্যাসোসিয়েশন'। সম্প্রতি ANM News এর পক্ষ থেকে খোঁজ নেওয়া হল 'বেহালা ১১ পল্লী ইউথ অ্যাসোসিয়েশন' ক্লাবের পূজোর প্রস্তুতিতে।
'বেহালা ১১ পল্লী ইউথ অ্যাসোসিয়েশন' ক্লাবের একজন বিশেষ সদস্য প্রতীক ঘোষ আমাদের সাথে শেয়ার করে নিল তাদের ক্লাবের পূজোর সমস্ত খুঁটিনাটি তথ্য। এবারের ৭১ তম বর্ষে 'বেহালা ১১ পল্লী ইউথ অ্যাসোসিয়েশন' ক্লাবের থিম কি হতে চলেছে জানতে চাওয়া হলে প্রতীক বাবু জানান, এবছরের পূজোর থিম 'এক নয়, এগারোতে শক্তি'। প্রতীক বাবু জানান ক্লাবের নামের সাথে মিল রেখে এ বছরে পূজোর থিম করা হয়েছে। এবছর 'বেহালা ১১ পল্লী ইউথ অ্যাসোসিয়েশন' ক্লাবের পুজোর খরচ প্রায় ২০ লক্ষ টাকা।
এবারের পুজোর প্রতিমা শিল্পী, আলোকসজ্জা, থিম আর্টিস্ট সম্বন্ধে জানতে চাইলে প্রতীক বাবু জানান, থিম আর্টিস্টে এবং প্রতিমা শিল্পী বাপ্পা দত্ত এবং মোহন মন্ডল ও আলোকসজ্জায় রয়েছেন সন্তু দাস। পূজোর উদ্বোধন সম্বন্ধে জানতে চাইলে প্রতীক বাবু জানান ৩ তারিখ অর্থাৎ প্রথমার দিন জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে পূজা মন্ডপ। উদ্বোধনের জন্য কোনো অতিথি আসছেন কিনা জানতে চাওয়া হলে চন্দ্রশেখরবাবু জানান রামকৃষ্ণ মিশন মঠের স্বামীজির সাথে কথা হয়েছে। এবছরের পূজোর উদ্বোধন তিনিই করবেন।
'বেহালা ১১ পল্লী ইউথ অ্যাসোসিয়েশন' ক্লাব নারী সুরক্ষার বিষয়ে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে জানতে চাওয়া হলে প্রতীক বাবু বলেন, 'আমরা যেখানে পূজো করি সেখানে অনেকটা খোলামেলা। গলির পূজো নয়। তাই আলাদা করে বিশেষ কোনো নারী সুরক্ষার পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন নেই। আমাদের ভলেন্টিয়ার, পুলিশ এবং সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে সবকিছু পর্যবেক্ষণের জন্য'।