নিজস্ব প্রতিবেদন : পূর্ব বর্ধমানের বাজেপ্রতাপপুর ট্রাফিক কলোনির দুর্গাপুজো এ বছর ১০১ তম বর্ষে প্রবেশ করছে। এই পুজো সারা রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ হিসেবে উঠে এসেছে। মণ্ডপটি গুজরাতের দ্বারকাধীশ মন্দিরের আদলে নির্মিত, যা তার ঐতিহ্য ও স্থাপত্যশৈলীর জন্য পরিচিত। এখানে একটি হেরিটেজ মসজিদ, বর্ধমান রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান কার্যালয় এবং শিখ সম্প্রদায়ের গুরুদোয়ারাও রয়েছে, যা এলাকার ধর্মীয় বৈচিত্র্যের চিত্র তুলে ধরে।
পুজো উদ্যোক্তা নুরুল আলম বলেন, "এখানে অধিকাংশ ভলান্টিয়ার মুসলিম সম্প্রদায়ের। এই এলাকাটিকে মিনি ভারতবর্ষ বললে ভুল হবে না। আমরা একে অপরের সঙ্গে মিলেমিশে সবকিছুই করি।" তার এই মন্তব্যে এলাকার মানুষের মধ্যে যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সহযোগিতা রয়েছে, তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
পুজোর চতুর্থীর দিন, বর্ধমানের বিভিন্ন মণ্ডপে মানুষের ঢল নেমেছে। আবহাওয়া নিয়ে কিছু উদ্বেগ থাকলেও আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পুজোর সময় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। ১০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা কম, কিন্তু শুক্র ও শনিবার কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।আবহাওয়ার অবস্থান উজ্জ্বল, রোদ ঝলমলে নীল আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘের আনাগোনা জানাচ্ছে শরৎকালের আগমন। যদিও মাঝে মাঝে কালো মেঘের উপস্থিতি বাঙালির মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। তবে সুখবর হলো, বৃষ্টি খুব একটা বিঘ্ন ঘটাবে না।
এদিকে, আগামী কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা বাড়তে পারে, যা অস্বস্তি বাড়াতে পারে। বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায়, রাজ্যবাসীদের ঠাকুর দেখতে বেরোতে হলে ছাতা নিয়ে যেতে হবে। এই পুজো কেবল ধর্মীয় উৎসবই নয়, বরং মানুষের মধ্যে ঐক্য, ভ্রাতৃত্ব এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরণ। দুর্গাপুজো সব বাঙালির কাছে একটি বিশেষ সময়, যেখানে ধর্ম ও সংস্কৃতির সকল বাধা অতিক্রম করে মানুষ একত্রিত হয়।