নিজস্ব সংবাদদাতা: ট্যাংরার (Tangra Case) একই পরিবারের দুই মহিলা ও এক নাবালিকাকে খুনের পিছনে হাত রয়েছে দুই ভাইয়ের। সন্দেহ ছিল আগেই, এবার একপ্রকার নিশ্চিত হল তদন্তকারীরা। সেই তত্বেই কার্যত সিলমোহর দিল জখম নাবালকের।
এদিন রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের উপদেষ্টা অনন্যা চক্রবর্তীকে জানিয়েছে, 'মা, কাকিমা, বোনকে মেরেছে কাকা। পায়েস খাওয়ানোর পর বেঁচে যাই। তখন কাকা বালিশ চাপা দিয়ে আমাকেও মারতে চেয়েছিল। যোগ ব্যায়াম করতাম বলে কাবু করতে পারেনি। কাকার হাত থেকে বাঁচতে মরে যাওয়ার ভান করি।'
সে আরও জানিয়েছে, মাস দু-তিন আগেই সে জানতে পারে তাঁদের পারিবারিক ব্যবসায় মন্দা দেখা দিয়েছে। সে ভেবেছিল, দাবার টুর্নামেন্ট খেলে পরিবারের এই চরম অর্থনৈতিক সংকটে পাশে দাঁড়াবে। তার আগেই বড়রা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে।
নাবালক জানিয়েছে, ঘটনার ২ দিন আগে বাড়ির বড়রা সপরিবারে আত্মহত্যার কথা বলছিল। তখনই সে টের পায়, বড় কিছু ঘটতে চলেছে। পায়েস খেয়ে কিছু না হওয়ায়, সকলে মিলে ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার পরিকল্পনা করে। কিন্তু মা-কাকিমা রাজি হন না। তখন কাকাই ২ জনকে খুন করে।
উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত পরিবারের কেউ নাবালকের দায়িত্ব নিতে চাননি। এখনও পর্যন্ত এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সে। কিশোরকে হোমে পাঠাতে চায় না কমিশন। তার দায়িত্ব নিতে প্রসূনের শ্বশুর-শাশুড়িকে রাজি করানোর চেষ্টা হবে বলে কমিশন জানিয়েছে। দুই ভাই প্রণয় ও প্রসূন দে-র সর্বোচ্চ শাস্তিরও দাবি জানিয়েছে রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন।