নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ২০০৩ সালের ১১ এপ্রিল ভারতে প্রথম '' জাতীয় মাতৃত্ব দিবস'' পালন করা হয়েছিল। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর সহধর্মিণী কস্তুরবা গান্ধীর জন্মবার্ষিকী হিসেবে ১১ এপ্রিল দিনটিকে ভারত সরকার জাতীয় নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই ব্যাপারে প্রথম উদ্যোগ নেয় ''হোয়াইট রিবন অ্যালায়েন্স ইন্ডিয়া'' বা WRAI নামের একটি সংস্থা। ভারত বিশ্বের প্রথম দেশ, যেখানে সরকারিভাবে জাতীয় নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালন করা হয়। 'নিরাপত্তা মাতৃত্ব' বলতে বোঝায়, কোন মহিলা গর্ভবতী হলে তার প্রসব পূর্ববর্তী পরীক্ষা, প্রসবকালীন যত্ন, গর্ভপাত হলে গর্ভপাত পরবর্তী চিকিৎসা, সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে মুক্তি এবং চিকিৎসা প্রভৃতিই হল নিরাপদ মাতৃত্বের মূল স্তম্ভ।
মাতৃস্বাস্থ্য, নিরাপদ প্রসব, পুষ্টি এবং স্বাস্থ্য সেবার গুণগত মান বৃদ্ধি সম্পর্কে মা-সহ তার সম্পূর্ণ পরিবার এবং সমাজের সকল স্তরে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সকলের প্রতিশ্রুতি, শিশুমৃত্যু রোধ নিশ্চিত করাই এই দিনটির মূল উদ্দেশ্য। WRAI-এর তথ্যানুসারে, প্রতি বছর ৪৪০০০ জন মহিলা মারা যান এই কারণে। তাই এই বিষয়ে সচেতনতা বিশেষ প্রয়োজন। ২০১১ সালের সেনসাস রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতে গর্ভস্থকালীন মৃত্যুর হার কমেছে ১৭ শতাংশ। এই দিনটিতে গর্ভবতী মহিলাদের রক্তাল্পতার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়, যাতে মহিলা এবং তার সমগ্র পরিবারও এই বিষয়ে সচেতন হয়। ভারত সরকার এই বিষয়ে '' ইন্দিরা গান্ধী মাতৃত্ব সহযোগ যোজনা'' নামক একটি স্কিম চালু করেছে। পাশাপাশি ভারত সরকার শিশু মৃত্যুর হার কমানোর জন্য নানান প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।