নিজস্ব সংবাদদাতাঃ দেশের মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা পারশে মাছের কৃত্রিম প্রজনন কৌশল উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছেন। বিজ্ঞানীরা জানান, পরিপক্ক পারশে মাছ অপ্রাণিভোজী হলেও পোনার প্রাথমিক খাদ্য অতিক্ষুদ্র জীবন্ত প্রাণীকণা। তাই হ্যাচারিতে কৃত্রিম প্রজননের পূর্বে পারশে মাছের পোনার ভক্ষণযোগ্য অতিক্ষুদ্র প্রাণীকণার চাষ এবং এই প্রাণীকণার খাদ্য হিসেবে এককোষী উদ্ভিদ চাষ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন করা হয়েছে। হ্যাচারিতে অতিক্ষুদ্র জীবন্ত প্রাণীকণা ও এককোষী উদ্ভিদের চাষ ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে ওয়ার্ল্ড ফিস সেন্টার কারিগরি সহায়তা দিয়েছে। পারশে মাছের প্রজননকাল শীতকাল হওয়ায় এবং এই মাছের পোনার খাদ্যাভ্যাস নোনা ট্যাংরার থেকে ব্যতিক্রম হওয়ায়, কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে এই মাছের পোনা উৎপাদন প্রক্রিয়া জটিল এবং সময়সাপেক্ষ। পারশে মাছ অতি সুস্বাদু। পূর্বে এই মাছের বৈজ্ঞানিক নাম ছিল লিজা সাবভিরিডিস (Liza subviridis ) এবং বর্তমান বৈজ্ঞানিক নাম চেলন সাবভিরিডিস (Chelon subviridis)। অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে এই মাছের চাহিদা রয়েছে। অগভীর উপকূলীয় জলাশয়, খাড়ি অঞ্চলে এবং প্যারাবনের জলাশয়ে এই মাছ পাওয়া যায়। পারশে মাছের প্রজনন স্বভাব অন্য মাছের চেয়ে কিছুটা বতিক্রমী। প্রাকৃতিক পরিবেশে শীতকালে অর্থাৎ, নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি মাসে এই মাছ অধিক লবণাক্ত জলে প্রজনন করে থাকে। তাই চাষের জন্য চাষীরা প্রাকৃতিক জলাশয় থেকে এই মাছের পোনা সংগ্রহ করে থাকে। অতীতে প্রাকৃতিক জলাশয়ে এবং চিংড়ির 'ঘেরে' এই মাছ পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যেত। কিন্তু নির্বিচার আহরণ ও পরিবেশগত কারণে প্রাকৃতিক জলাশয়ে এই মাছ তেমন আর পাওয়া যায় না।