নিজস্ব প্রতিনিধি, জামুড়িয়াঃ শাসক দলের ভোট শতাংশ নিয়ে প্রশ্ন বিরোধীদের। ভোট লুট ছাড়া এই শতাংশ ভোট পাওয়া সম্ভব নয় বলে মত বিরোধীদের একাংশের।
আসানসোল পৌর নিগম ভোটে ১০৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৯১টি ওয়ার্ড জিতে দ্বিতীয়বারের জন্য পৌরনিগমের দখল নিয়েছে তৃণমূল। জামুড়িয়ার ১৩টি ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেস বিজয়ী হলেও কিন্তু রানীগঞ্জ ১১টি ওয়ার্ডের মধ্যে একটি ওয়ার্ড বাম প্রার্থী জয়ী হন। কিন্তু রানীগঞ্জ ও জামুড়িয়ার কিছু ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোট ৮৫ থেকে ৯৩ শতাংশ।
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পরিসংখ্যান দেখে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটের অভিযোগে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। ২০১৯ সালের লোকসভার পরিসংখ্যান অনুযায়ী
, আসানসোল পৌরসভার অন্তর্গত জামুড়িয়া ও রানিগঞ্জ যথাক্রমে দশটি ও নটি ওয়ার্ডে এগিয়েছিল বিজেপি। তৃণমূল জামুড়িয়ার তিনটি এবং রানীগঞ্জের দুটিতে এগিয়ে ছিল। ২০২১-এর বিধানসভা জামুড়িয়ার ছটি ওয়ার্ড এবং রানীগঞ্জে আটটি ওয়ার্ড এগিয়ে বিজেপি। বাকিগুলোতে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। কিন্তু এবার পুরভোটে দেখা যাচ্ছে ১৩টির মধ্যে সবকটি তৃণমূল এবং রানীগঞ্জের এগারোটার মধ্যে দশটি তৃণমূল জিতেছে। বিজেপি জামুড়িয়ার ১৩টি এবং রানীগঞ্জে পাঁচটিতে দ্বিতীয় স্থানে। অন্য ওয়ার্ড গুলোর মধ্যে একটি জয় সহ বাকিগুলোতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিপিএম। আসানসোল পৌরসভার ৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড মোট ভোট পড়েছে যথাক্রমে ৬৮৬৬টি ও ৮০৭৫টি। এই দুটি ওয়ার্ডে তৃণমূলের ভোট প্রাপ্তি ৬১২৪টি এবং ৭৫২০টি। অর্থাৎ যথাক্রমে প্রায় ৮৯ এবং ৯৩ শতাংশ। এছাড়াও ৫ এবং ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে যা ভোট পড়েছে তারমধ্যে যথাক্রমে তৃণমূলের প্রার্থীরা ৮৯ ও ৮৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। অথচ ২০২১ এর বিধানসভা ভোটে এই দুটি ওয়ার্ডে বিজেপি এগিয়েছিল।
বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি প্রমোদ পাঠক কটাক্ষ করে জানান, গত এপ্রিলে বিধানসভা ভোট হয়। তার ৮ মাসের মধ্যে তৃণমূল কী এমন করল যাতে সব ভোটাররা প্রায় সবাই ওদের দিকে চলে গেলেন? প্রমোদ পাঠক অভিযোগ করেন, আসলে তৃণমূল ভোট লুট করেছে। তা ভোটের পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। রানীগঞ্জ এর প্রাক্তন বিধায়ক তথা রানীগঞ্জ পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান রুনু দত্ত জানান, নিজেদের পকেট ভরতে তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের ভোট লুট করেছে। যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিধান উপাধ্যায় জানান, বিরোধীরা আসলে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। তাই এখন এইসব কথা বলছে। বিরোধীরা ভুলে যাচ্ছে "লক্ষ্মীর ভান্ডার","দুয়ারে সরকার" সহ রাজ্য সরকারের একাধিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচির কথা। এইসব প্রকল্প সফল ভাবে রুপায়িত হয়েছে।